পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর : যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাপা ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টুর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আগে একই অভিযোগে ওই ইউনিয়নের নবনির্বাচিত মেম্বার মাহাবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগের ব্যাপারে বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা। তিনি জানান, আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় আসতে বলেছি। মামলার পর অভিযুক্তদের আটক করে দ্রুত বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাহেরুল ইসলাম জানান, রামনাথপুরের অরুণ হাজরা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মন্টুসহ আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন। পুলিশ বুধবার বিকালে মাহবুব মেম্বারকে আটক করেছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গত ২২ মার্চের ইউপি নির্বাচনে শামছুল হক মন্টু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তার ছোট ভাই সাইফুল ও টুটুলের নেতৃত্বে নান্টু, কামরুল, মাহবুব মেম্বর, রবিউল, মমিন, শরিফুল, শাহাদৎ, আব্দুর হামিদসহ ২৫/৩০ জনের এক সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী এলাকায় জমিদখলসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের রাজত্ব কায়েম করে জনমনে চরম আতংক সৃষ্টি করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ মে ওই ক্যাডার বাহিনী বোমা, পিস্তল, রামদাসহ মাটিকাটা ২ টি স্কেভেটর মেশিন নিয়ে মোবারকপুর মৌজায় জোর করে ২শ’ বিঘা ফসলী জমিতে ঘের কাটা শুরু করে। এসময় সুনিল, চিত্র হাজরা, ভগিরথ, মুকুন্দ, রফিকুল, মিলনসহ জমির মালিকরা বাধা দিতে আসলে তাদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গলা ধাক্কা দিয়ে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় গোকুল চন্দ্র হাজরাসহ অনেকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, ওই বাহিনী হুংকার ছাড়ে কেউ টুঁ-শব্দ করলে নিস্তার নেই, তোমাদের এদেশে থাকার দরকার নেই, ভারতে চলে যাও। উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান-ঐক্য পরিষদের নেতা পবন কুমার বিশ্বাস তপন বলেন, শুধু সংখ্যালঘুর জমির নয়; আরো যাদের জমিতে জোর করে ঘের করা হচ্ছে- সেই সন্ত্রাসী দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
গতকাল (বৃহস্পতিবার) যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, চলতি ইউপি নির্বাচনের আগে ও পরে যশোর জেলার বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যা এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। যশোরের চৌগাছা উপজেলায় সংখ্যালঘু নির্যাতনে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন রহমান এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। মণিরামপুরে সংখ্যালঘুদের ওপর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডার বাহিনীর নির্যাতন চলছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু, হাবিবা শেফা, সুরাইয়া শরীফ, তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।