পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া একমাত্র আদালতের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসতে পারেন। রাস্তায় আন্দোলন করে কোন লাভ হবে না। তার কারণ হচ্ছে, এখন বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাদের সময় (বিএনপি) যেমন অন্য রকম শাসন ছিল এখন সেটা নাই। আন্দোলন কোথায় হুমকিই তো দিচ্ছে, আন্দোলন তো করতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়টি আদালতের ব্যাপার। তাকে বিচারিক আদালত সাজা দিয়েছে। আপিলেও হাইকোর্ট তাকে সাজা দিয়েছে। সরকারের তো কিছু করার নেই। শেখ হাসিনা সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী, প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নয়।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজশাহীতে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিমিনয়কালে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনজীবীদের মর্যাদা, আইনজীবীদের উন্নয়ন এবং আইনের শাসন সু-প্রতিষ্ঠা হওয়ার জন্য যা যা করণিয় সেই পথেই এগুচ্ছে সরকার। আইনজীবীদের উন্নয়নে সরকারের এ পদক্ষেপ থেকে রাজশাহীর আইনজীবীরা বাদ যাবে না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচার বিভাগে কর্মরতদের বেতন প্রায় দিগুণ করা হয়েছে। এজলাস ভাগাভাগি যাতে করতে না হয়, সেজন্য একটি প্রজেক্ট নেয়া হয়েছে। এই প্রজেক্টের আওতায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি এবং জেলা জজ ভবন ১০/১২ তলা ভবন নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে। এজলাস বেশি থাকা ভালো। আমাদের যতটুকু আর্থিক সামর্থ্য আছে, সবটুকু বিচার বিভাগের উন্নয়নে দিতে রাজি আছি। আইনজীবীদের দাবির প্রেক্ষিতে বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই বার এ্যাসোসিয়েশন ভবন নির্মাণের জন্য ৩ কোটি টাকা প্রদান এবং রাজশাহী বার ভবনে লাইব্রেরি স্থাপনের জন্য আগামী ৭ দিনের মধ্যে ১৫ লাখ দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেন আইনমন্ত্রী।
এর আগে আইনমন্ত্রী রাজশাহী বার এ্যাসোসিয়েশনের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিমিয় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে আমরা আইনজীবীদের জন্য বহুলত ভবন তৈরির যে কথা দিয়েছিলাম। সেই কথা আমরা রাখলাম। আমরা যে কথা দিয়ে কথা রাখি, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে সেটি আবারো দেখানো হলো।
মেয়র আরো বলেন, দীর্ঘদিন আদালত চত্বরের কোন উন্নয়ন হয়নি। এখানকার দায়িত্ব কেউ নেয়নি। শিগগিরই আদালত চত্বরের রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। সিটি করপোরেশনের একটি মেগা প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে, সেটির মধ্যে আদালত চত্বরের উন্নয়ন ধরা হয়েছে।
রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ইয়াহিয়া, অ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একরামুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।