পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লায় চৌদ্দ জাতের লাল টসটসে টমেটোর বাম্পার ফলন রাঙিয়ে তুলেছে চাষিদের। শীত শেষ হয়ে রীতিমত গরমের দাপট চলছে। এখনো চাষিরা জমি থেকে টমেটো তুলছেন। এবার অধিক ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় চাষিদের আনন্দের মাত্রাটাও যোগ হয়েছে বেশি।
কুমিল্লার সবকটি উপজেলাতেই টমেটোর ব্যাপক ফলন হয়েছে। উপযুক্ত দাম চাষিদের আরো উৎসাহিত করে তুলেছে। এখানকার উৎপাদিত টমেটো স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পরও রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ করছে।
এবারের মৌসুমে কুমিল্লায় টমেটোর ফলন গত ৭/৮ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অনন্যা, বিগল, রকি, ডেলটা, অলক, প্রসূন, ঐশী, হিরোপ্লাস, সফল, চিরঞ্জীব, বিউটিফুল, বিএল-৬৪২ এবং অপূর্বসহ চৌদ্দটি উন্নত জাতের টমেটো আবাদ করেছেন চাষিরা। শীত শুরুর আগে ২ হাজার ৭ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় ২০০ হেক্টর বেশি জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৪৭০ হেক্টর জমিতে টমেটো আবাদ হয়। চান্দিনা উপজেলায় সহস্রাধিক টমেটো চাষি রয়েছেন। যারা বাণিজ্যিকভাবে টমেটো চাষ করে সাবলম্বী। টমোটো ফলনে এরপরেই রয়েছে বরুড়া, বুড়িচং, দেবিদ্বার, কুমিল্লা সদর ও সদর দক্ষিণ উপজেলার স্থান। এছাড়াও দাউদকান্দি ও হোমনাসহ অন্যান্য উপজেলাতেও কমবেশি টমেটো আবাদ হয়।
এসব এলাকায় উৎপাদিত টমেটো স্থান পায় দেশের অন্যতম সবজি বাজার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের নিমসারে। অন্যদিকে কুমিল্লা সদরের পাঁচথুবি, আমড়াতলী, জগন্নাথপুর, দূর্গাপুর ইউনিয়নে এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে উৎপাদিত টমেটো কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজার ও চকবাজার, রানীর বাজার সবজি আড়তে স্থান পেয়ে থাকে।
শীতের মৌসুম শেষ হওয়ার পর বসন্তেও কুমিল্লার হাট-বাজারগুলো লাল টসটসে টমেটোতে ঠাসা। বর্তমানে বাজারে বড় ও মাঝারি আকারের প্রতি কেজি টমেটো খুচরা ২৫ থেকে ২০ টাকা আর ছোট আকারের টমেটো ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবার টমেটোর বাজারদর সন্তোষজনক বলে জানালেন চাষিরা।
চান্দিনা এলাকার চাষিরা জানান, টমেটো পাকার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে নিয়ে আসতে হয়। কাঁচামাল ঘরে রাখা যায় না। সবজি সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে হিমাগারের ব্যবস্থা করলে ফসলের আরো ভালো দাম পেতেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস কুমিল্লার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দিলীপ কুমার অধিকারি ইনকিলাবকে জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের নজরদারি ও উপজেলা পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হয়। বিশেষ করে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের দেয়া আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ সবধরণের লজিস্টিক সার্পোট দেয়া এবং আবহাওয়া সময়োপযোগী হওয়ায় এবার টমেটো উৎপাদন বাম্পার হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় উৎপাদিত টমেটো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলাতেও যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।