Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এফ-১৬ নিয়ে উদ্বেগে ভারতের বিমানবাহিনী

পাকিস্তানকে পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পাকিস্তান তার সীমান্ত জুড়ে নিজেদের ঘাঁটিগুলোতে জঙ্গিবিমান এফ-১৬ মোতায়েন করছে। এ অবস্থায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য তারা তৈরি থাকতে চায় ভারতের বিমানবাহিনী। কিন্তু এফ-১৬ এর জবাব দেয়ার মতো যথেষ্ট অস্ত্র হাতে না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র ক্রয়ের দাবি জানিয়েছে তারা। এদিকে, যে কোন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে পূর্ণ সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
ভারতের বিমানবাহিনী দাবি করছে, পাকিস্তান তাদের এফ-১৬ বিমানের নতুন একটি স্কোয়াড্রন তৈরি করেছে, এর নাম দেয়া হয়েছে অ্যাগ্রেসর। পাকিস্তানের ২৯তম এ স্কোয়াড্রনে মোট ৮টি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান রয়েছে। জরুরি মুহূর্তে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সরকারের কাছে অস্ত্র চাইছে তারা।
নতুন করে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র ক্রয়ের আহ্বান জানিয়ে ভারতের বিমানবাহিনী বলেছে, তাদের হাতে আগে থেকেই মিসাইল রয়েছে। কিন্তু বিমান হামলা আরো বেশি সূ² করতে নতুন অস্ত্রের প্রয়োজন। অবশ্য অনেক আগে থেকেই বলা হচ্ছে, ভারতের অনেক অস্ত্রেরই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে আসলে যুদ্ধ শুরু হলে বিপদেই পড়ে যাবে দেশটি।
তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধের জন্য তারা এসব মোতায়েন করছে না। তবে ভারতের পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক কোনো তৎপরতা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দিতেই তারা এসব জঙ্গিবিমান মোতায়েন করেছে। আগে থেকেই এসব ঘাঁটিতে এফ-১৬ মডেলের যুদ্ধ বিমান ছিলই। এখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটি কিছু বাড়ানো হচ্ছে।
এদিকে, পরিস্থিতি যাই হয়ে যাক, পাকিস্তানকে সমর্থনের রাস্তা থেকে সরবে না বলে জানিয়েছে চীন। পাকিস্তান ও চীনের দুই পররাষ্ট্র্রমন্ত্রীর বৈঠক হয় বেইজিংয়ে। সেখানে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই বলেন, ‘সারা পৃথিবীর পরিস্থিতি যাই হয়ে যাক, পাকিস্তানকে সর্বতভাবে সমর্থন করবে তার দেশ। সেইসঙ্গে সহযোগিতাও চলবে সমানতালে।’ গত মঙ্গলবার বেইজিংয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত বৈঠকে পাকিস্তানের ভূখন্ডের অখন্ডতা ও মর্যাদাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে এই ঘোষণা দিয়েছে চীন। বৈঠকে কাশ্মীর পরিস্থিতির চরম অবনতির কথা উল্লেখ করেছে পাকিস্তান। এতে কাশ্মীর নীতিতে পরিবর্তন আনতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি ও চীনা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পর পরিস্থিতি শান্ত করতে ইসলামাবাদের চেষ্টার প্রশংসা করেন ওয়াং ই।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় দেশটির একটি আধাসামরিক বাহিনীর ৪৪ জওয়ান নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানভিত্তিক জইশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। তবে এ হামলার জেরে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে পরমাণু শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তান বিমানযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তান ভারতীয় যুদ্ধবিমানের এক পাইলটকে আটক করার পর শান্তির নিদর্শন হিসেবে তাকে ফেরত দিয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসীর তালিকায় ভারত অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে চীনের ভেটোতে সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস, হিন্দুস্থান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ