Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষক লাঞ্ছনায় বিবেক কাহিনী - ‘কাঁদো বাঙালি কাঁদো’

প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার : ‘বাদশাহ আলমগীর/কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর/ একদা প্রভাতে গিয়া/ দেখেন বাদশাহ/ শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া/ ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে’ কাজী কাদের নেওয়াজের ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ নামের এই কবিতা পড়েননি দেশে এমন শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কবিতার বক্তব্য- গুরুর চরণে শুধু পানি ঢালা শুধু নয় ছাত্রের উচিত হাত দিয়ে শিক্ষকের পা ধুয়ে দেয়া। এ কবিতার মাধ্যমে সমাজে শিক্ষকের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। মা-বাবার মতোই শিক্ষক। শিক্ষা জাতির মেরুদ- আর শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকদের শ্রদ্ধা, সম্মান করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। আমরা কি সে দায়িত্ব পালন করতে পারছি?
দেশে এখন দু’টি খবর টক অব দ্য কান্ট্রি। এক. বিএনপির অখ্যাত নেতা আসলামের মোসাদ কানেকশন। দুই. নারায়ণগঞ্জের এক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করা। ক্লাসে ছাত্রকে মারতে গিয়ে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে কয়েক দিন আগে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে এলাকার তৌহিদী জনতা ঘেরাও করে। জনতার ঘেরও থেকে বাঁচাতে পুলিশ, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষককে কানে ধরিয়ে উঠ-বস করানো হয়। এ ঘটনার সচিত্র খবর মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে শুরু হয় নিন্দার ঝড়, তর্ক-বিতর্ক। কেউ বলেন ছাত্র পেটানো ফৌজদারী অপরাধ। আর ধর্ম নিয়ে কটূক্তি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কিছু মানুষ ওই দিকে না গিয়ে ‘কান ধরে ওঠ-সব’ ঘটনা ইস্যু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শাহবাগীরা ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। কেউ কেউ  নিজেদের ‘কান ধরে’ দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কেউ আবার কান ধরে উঠ-সব করে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিকী প্রতিবাদ করেন। সুশীল সমাজ, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, টকারু, এনজিওবাজসহ কিছু বিবেকবান(!) মানুষ ঘটনার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। যদিও ঘটনার তদন্তের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আদালতও এ নিয়ে রুল জারি করেছে। টিভির টকশোগুলোতে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাকে গোটা শিক্ষক সমাজ এবং জাতির কান ধরে উঠ-বস করার নামান্তর হিসেবে অবিহিত করা হয়। কিছু মিডিয়া এ ঘটনার জ্জ দিন পর প্রচারণা শুরু করেন। ধিক্কার দেয়া হয় স্থানীয় প্রশাসন ও এমপিকে। সবার বক্তব্য হলো শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের এভাবে হেনস্তা করা অন্যায়, অপরাধ এবং গর্হিত কাজ। নারায়ণগঞ্জের এ ঘটনা সভ্যতা-ভব্যতা বিবর্জিত। যারা এ দাবি করেছেন তাদের সঙ্গে আমরাও একমত। শিক্ষক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর; সবার পুজনীয় ব্যক্তিত্ব। তাদের মর্যাদা আলাদা। আমরা গ্রামে গেলে এখনো প্রাইমারী-হাইস্কুলের শিক্ষকদের পা ছুঁয়ে সালাম করি; দোয়া নিই। দিল্লীর বাদশা আলমগীর শিক্ষকের মর্যাদার জন্যই ছেলেকে বকাঝকা করেছেন শিক্ষকের চরণে শুধু পানি ঢালার দৃশ্য দেখে; তার প্রশ্ন হাত দিয়ে মৌলভীর পা ধৌত করেনি কেন কুমার? শিক্ষকদের প্রতি এটাই হওয়া উচিত। প্রশ্ন হলোÑ যারা শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করার কারণে এমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন, ধিক্কার ছড়াচ্ছেন; তারা সত্যিই কি দেশের শিক্ষক সমাজকে পুজনীয় স্থানে দেখতে চান? নাকি ইসলাম বিদ্বেষী কথা বলে ঔদ্ধত্য দেখানোর কারণে শ্যামল কান্তিকে পুজনীয় স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন? গত ১৭ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কর্মসূচি পালন করেছে। তাদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। গত বছর ঢাকায় আন্দোলন করতে আসা শিক্ষকদের ওপর পুলিশী আক্রমণ ও গরম-লাল পানি-পিপার স্প্রে ছিটানোর পর ময়মনসিংহের একজন শিক্ষক প্রাণ হারিয়েছেন। রাস্তায় পড়ে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনে রক্তাক্ত হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকায় এসে লাশ হয়ে ফিরে গেছেন একজন। এ ছাড়াও শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তাদের পেটানো পর এই বিবেকবান মানুষগুলোর বিবেক কোথায় ছিল? তখন বিবেক জাগ্রত হয়নি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহকে যখন পিটিয়ে জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল তখন এই বিবেকগুলোর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর শোনা যায়নি। জ্ঞানতাপস মাহবুব উল্লাহর রক্তাক্ত ছেঁড়া জামা বিবেকবানদের বিবেকে ঝাঁকুনি দেয়নি কেন?
আসুন দু’বছর আগের একটি ঘটনা স্মরণ করি। ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্ট বার সমিতি মিলনায়তনের একটি ‘বই প্রকাশনা’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে বেরিয়ে আসছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষক দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ। সেখানেই আতর্কিতে তার ওপর হামলা চালানো হয়। আকস্মিক কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান এবং তাঁর জামা ছিঁড়ে যায়। ড. মাহবুব উল্লাহ শুধু দেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ নন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সম্মানিত সাবেক অধ্যাপক। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র এবং সংগ্রামী ছাত্রনেতা। বামপন্থী ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি পাকিস্তান আমলে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তাঁর বইতে লিখেছেন, ১৯৬৯ সালে ড. মাহবুব উল্লাহ সর্ব প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলায় তৎকালীন সামরিক সরকার তাকে জেল দিয়েছিল। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ছিলেন তার আইনজীবী। এমন একজন সম্মানিত শিক্ষকের ওপর বর্বর হামলা চালানোর পর আজকের বিবেকবানরা নীরব ছিলেন। পুজনীয় শিক্ষক ড. মাহবুব উল্লাহকে যখন পেটানো হয় তখন গোটা শিক্ষক সমাজ, জাতির গালে থাপ্পড় মারা হয়নি? আজকে যারা কান ধরে উঠবস করে হাইস্কুলের শিক্ষকের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ করছেন; তারা কি সেদিন ঘুমিয়ে ছিলেন? ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করায় গোটা শিক্ষক সমাজের মানমর্যাদা নষ্ট হয়। মানুষ হিসেবে আমরা ধিকৃত হই। কিন্তু প্রাচ্যের অক্সফোড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে লাঞ্ছিত করলে সে কালি দেশের গোটা শিক্ষক সমাজের গায়ে লাগে না?
শুধু কি তাই! আসুন শিক্ষক নির্যাতনের কিছু ঘটনা দেখি। ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সৈয়দ আলমকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ একটি ছাত্র সংগঠনের নেতারা। ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক সুব্রত কুমার দে’র ওপর হামলা করা হয়। ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুয়েটের শিক্ষকরা ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেন। ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে চড়াও হয়ে মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। আহত হন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গণি, অধ্যাপক এ ন ক সমাদ্দার, মোস্তফা কামাল মাসুদ, সহযোগী অধ্যাপক মো. ফারুক উদ্দিন, ইয়াসমিন হক প্রমূখ। একই সালের ৩১ জুলাই খুলনার সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে ছাত্রলীগ নেতারা মারধর করে। কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেন। একই বছরের ১০ মে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাকিব আহমেদকে মারধর করা হয়। ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষককে মারধর করা হয়। ২০১২ সালের ৩০ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের প্রভাষক মো. সাইফুদ্দিন খানকে মারধর করা হয়। ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বরিশালের বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শংকর চন্দ্র দত্তকে রিকশা থেকে চ্যাংদোলা করে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগ নামধারী একদল তরুণ। ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষককে পিটিয়ে রক্ত ঝরানো হয়। ২০১০ সালের ১১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, একে এম ইফতেখারুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান এবং পালি ও বুদ্ধিস্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিমান চন্দ্র বড়ুয়াকে পেটায় ছাত্রলীগ। ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াই শতাধিক শিক্ষকের অবস্থান ধর্মঘটের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জখম হন। ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক গোলাম মঈনুদ্দীনকে পেটানো হয়। ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুরে কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবদুল্লাহীল হাসানকে পেটানো হয়। ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর গাজীপুরের শ্রীপুরে স্কুল চলাকালীন সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা প্রবীণ সহকারী শিক্ষক আবুল খায়েরকে বেদম মারধর করে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জালাল উদ্দিনকে পরীক্ষা চলাকালে কক্ষের ভিতরেই পেটানো হয়। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, বুয়েট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জগন্নাথ, বেগম রোকেয়া, কুমিলা, ইসলামী, শাহজালাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, হাজী দানেশ এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজের অসংখ্য শিক্ষক লাঞ্ছিত হন। এই সব শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার পর কি আজকের বিবেকবানরা প্রতিবাদ করেছিলেন? ওই শিক্ষকরা কি পুজনীয় ব্যক্তি নন? অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর মতো অধ্যাপককে রক্তাক্ত করলে আমাদের মাথা হেট হয় না; ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য দেয়ার কারণে হাইস্কুলের শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করালে আমাদের মাথা হেট হয়ে যায়। শিক্ষককের মান-মর্যাদা রক্ষায় এখন আমাদের কাঁদা ছাড়া উপায় নেই। কাঁদো বাঙালী কাঁদো।



 

Show all comments
  • সুজন ১৯ মে, ২০১৬, ১:৫২ পিএম says : 0
    অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর মতো অধ্যাপককে রক্তাক্ত করলে আমাদের মাথা হেট হয় না কেন ? তখন এরা কোথায় থাকেন ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষক লাঞ্ছনায় বিবেক কাহিনী - ‘কাঁদো বাঙালি কাঁদো’
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ