পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি-মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেছেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগকে উপদেশ দেবেন না। আগে নিজেরা বদলান। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ছাত্রলীগ-যুবলীগকে ডাকে না। এমপি-মন্ত্রীদেরই ডাকে। উপদেশ দেয়া সহজ। কিন্তু উপায় বের করা কঠিন কাজ। আমাদেরকে ত্যাগী হওয়ার কথা বলার আগে আপনারা পদ ছেড়ে দিন। অন্যদের জায়গা করে দিন। দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, একসময় যারা শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করেছিলেন তারা এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। তারা এখন জাতীয় নেতা।
গতকাল (বুধবার) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে একটি ক্লাবে যুবলীগ ঢাকা মহানগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওমর ফারুক চৌধুরী বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি হলো জঙ্গিবাদ এবং ইহুদিবাদের এক বিষাক্ত মিশ্রণ। যা সভ্যতা, অগ্রগতি ও প্রগতির ঘাতক। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন বিবৃতি পার্টিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি হলো রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, বিশ্বনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। ১৯৮১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ বলেন, রাজনীতি অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার নয়। রাজনীতি হচ্ছে কর্তব্য ও দায়িত্ববোধ এবং নৈতিকতা। যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে হলে আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে হবে। যুবলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়তে হবে। শুধু মুখে মুখে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করলে চলবে না, হƒদয়ে ধারণ করতে হবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
মারুফ আরো বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। কারণ তিনি উন্নয়নের প্রতীক, অগ্রগতির প্রতীক, সংগ্রামের প্রতীক। তাকে হত্যা করতে পারলেই দেশকে উল্টোপথে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। পরাজিত শক্তির দোসররাই সে চেষ্টা করছে। প্রত্যেক নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে। নেতাকর্মীর মধ্যে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির প্রতিচ্ছবি দেখা যায় বলেও মন্তব্য করেন তার ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফ।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন যুবলীগ উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো: ইসমাইল হোসেন।
যুবলীগ ১৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো: বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াতবাত, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক নাসরিন জাহান শেফালী, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে ফাহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদকম-লীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, শ্যামল কুমার রায়, যুবলীগ উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও গুলশান থানা যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম হƒদয় প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ১৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: মোস্তফা।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ১৯ নং ওয়ার্ড পূর্ব ও পশ্চিম ২ ভাগ করা হয়। ১৯ নং ওয়ার্ড (পূর্ব) সভাপতি পদে কবির আহম্মেদ শান্ত, সাধারণ সম্পাদক পদে মো: হারুন প্রধান এবং ১৯ নং ওয়ার্ড (পশ্চিম) সভাপতি পদে মো: মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক পদে মো: কুতুব উদ্দিন আলমকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।