পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে এক স্কুল শিক্ষককে কান ধরিয়ে উঠ-বস করানোর ঘটনায় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গতকাল (বুধবার) এই আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বন্দর থানার ওসি এবং ইউএনওসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। পাশাপাশি ওই ঘটনায় কী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। এই আদেশের অনুলিপি দ্রুত সংশ্লিষ্টদের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে শিক্ষক লাঞ্ছনার ওই ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান ও মহসীন রশিদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে একদল লোক মারধর করে। পরে তাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করান স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
দেশজুড়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচার দাবির মধ্যেই মঙ্গলবার সেই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ জড়িত অন্যদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। ওই শিক্ষককে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে ১৪ দল বলেছে, ওই কাজ করে সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য পদের মর্যাদা ক্ষুণœ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।