পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হলেই দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, দেশের সর্বক্ষেত্রে হিটলারের ছায়া আমরা লক্ষ্য করছি। দেশে ভোট বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশে একদিন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল এখন তার লেশমাত্র নাই। সেই গৌরবময় ইতিহাস ফিরিয়ে আনার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোন বিকল্প নেই। তার মুক্তির মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
গতকাল (সোমবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা এবং গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এখন উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে, কিছুদিন আগে উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। সে নির্বাচনে কি হয়েছে আপনারা দেখেছেন। আপনারা দেখেছেন ডাকসু নির্বাচন। এই ডাকসু ভাষা আন্দোলনের প্রতীক, ১৯৬৯ এবং ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক, ছাত্র এবং সরকার ইসির বুদ্ধিতে যে নির্বাচন করেছে এটি কোনোভাবেই জাতি মেনে নিতে পারে না। এটাও কোনো নির্বাচন হয় নাই। দেশে ৭২-৭৫’র অপশাসন, বাকশালী শাসন, কর্তৃত্ববাদী শাসন পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশে একদিন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল এখন তার লেশমাত্র নাই। সেই গৌরবময় ইতিহাস ফিরিয়ে আনার জন্য এখানে যারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আমরা আছি, ছাত্রসমাজ, এ দেশের যুবসমাজ, মেহনতী, শ্রমিক-কৃষক সকলেই তাদের সাথে আছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অপশাসন, দুঃশাসন, ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই একটা হবে, দিন তারিখ দিয়ে নয়। লড়াই হবে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার, লুটেরা যারা ব্যাংককে ফাঁকা করেছে, যারা এই দেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে। এই লড়াই বেগম জিয়া, শহীদ জিয়া, সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই। এজন্য তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটায়। পতন ঘটানোর জন্য প্রথম কাজ বেগম জিয়াকে মুক্ত করা। আর দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে অপশাসনকে উচ্ছেদ করা। তাহলে দেশে গণতন্ত্র ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
অপশাসনকে রোধ করতে বেগম জিয়াকে আগে মুক্ত করতে হবে মন্তব্য করে কৃষক দলের আহ্বায়ক বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করে আনার অর্থই হচ্ছে অপশাসনকে রোধ করা। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার অর্থই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে সম্মানিত করা। এই গোলামির জিঞ্জির ভেঙে ফেলার অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি সম্মান করা।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মাধ্যমে গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি থামিয়ে জনগণকে শান্তিতে থাকার সুযোগ দিন। অন্যথায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল নতুন কর্মস‚চি নিয়ে নব উদ্যোমে একাত্তরের ন্যায় আবারও আন্দোলন শুরু করবে।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আবুল হোসেনর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও কৃষক দলের সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কাদের সিদ্দিকী প্রমূখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।