পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে পিতা সামসুল হককে খুন করেছে। মামলা তুলে না নেয়ায় দুর্বৃত্তরা পুত্র জহিরুলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করার দীর্ঘ ২৭ দিনেও কোন খুনীকে গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ।
উপরন্তু খুনীরা এলাকায় মুখ লুকিয়ে থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য জহিরুলের স্ত্রী বাদিনী রুজিনা আক্তারকে অব্যাহতভাবে চাপ দিচ্ছে। খুনীদের ভয়ে জহিরুলের দুটি সন্তান নিয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে স্ত্রী রুজিনা আক্তার। আর এই ঘটনাটি ঘটে চলছে পলাশ উপজেলার গালিমপুর গ্রামে। খুনী চক্রের হাত থেকে অসহায় রুজিনা ও তার সন্তানদেরকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসছে না। জানা গেছে, পলাশ উপজেলার গালিমপুর গ্রামের সামসুল হকের সাথে জমি সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে একই গ্রামের গাফ্ফার মারফত আলী, মিজান মিয়া, আরিফ, আলেক মিয়া, নজরুল ইসলাম,বাছির, হাফিজুল, নবিকুল, ফারুক, মনির, রফিক, শহিদুল্লাহ, তোতা মিয়া, জাহাঙ্গীর, সুমন, সাত্তার, রুমান মিয়া, শরিফ, মোমেন মিয়া গংদের বিরোধ চলে আসছিল। ২০০৯ সালের ৩০ আগস্ট রাতে উল্লেখিত দুর্বৃত্তরা সামসুল হককে তার বাড়ীর অদূরে একটি জলায় ফেলে কচুকাটা করে হত্যা করে। মারাত্মকভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে সামসুল হকের পুত্র জহিরুল হককে। এ ব্যাপারে নিহত সামসুল হকের স্ত্রী নুরজাহান বাদী হয়ে উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই বিচারাধীন হত্যা মামলাটি উঠিয়ে নেয়ার জন্য উল্লেখিত আসামীরা দীর্ঘ দিন ধরে জহিরুল হককে চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু জহিরুল মামলা উঠিয়ে নিতে রাজী না হওয়ায় গাফ্ফার, শরিফ ও মারফত তাদের বাড়ী গিয়ে জহিরুল হককে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, মামলা উঠিয়ে না নিলে পিতা সামসুল হকের মতই জহিরুল হককে হত্যা করা হবে। এরপর থেকে জহিরুল হক পিতার হত্যাকারীদের ভয়ে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। গত ১৪ এপ্রিল জহিরুল হক খাওয়া দাওয়া শেষে ছেলে রিয়াদ (৩), বোন মারুফা আক্তার (৬), ভাই সজিব (৫)দেরকে নিয়ে বৈশাখী মেলা দেখতে স্থানীয় ভিরিন্দা বাজারে যায়। মেলা শেষে তাদেরকে নিয়ে রিক্সাযোগে শ্বশুর বাড়ী ফেরার পথে একই গ্রামের জনৈক হাফিজ উদ্দিনের বাড়ীর সামনে পৌছলে উল্লেখিত আসামীরা তার পথরোধ করে পরে তাকে রিক্ষা থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে জনৈক জাবেদ হোসেনের ধান খেতে নিয়ে তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনার পর জহিরুলের স্ত্রী রুজিনা আক্তার গত ৩১ এপ্রিল পলাশ থানায় উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। কিন্তু হত্যাকা-ের পর দীর্ঘ ২৭ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ জহিরুলের হত্যাকারীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারছে না। এব্যাপারে রুজিনা আক্তার নাথা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে রহস্যজনক কারণে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। আসামীদের সন্ধান দেয়ার জন্য বাদীকে পাল্টা আদেশ দিয়ে পুলিশ চুপ মেরে বসে রয়েছে। এই অবস্থায় রুজিনা আক্তার তার শিশু সন্তানদেরকে নিয়ে সম্প্রতি প্রেস ক্লাবে গিয়ে তার এই দুঃখগাথা বিবৃত করেন এবং আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।