পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উত্তর ঠাকুরগাঁও গ্রামের কৃষক জহরলাল রায় ঋণ নিয়ে ফসল আবাদ করত। এনজিও আর সার কীটনাশকের দোকানে ঋণের জালে জর্জরিত। এবার মিষ্টি কুমড়ার ফলন তুলে দুটি এনজিও থেকে নেয়া ৯০ হাজার টাকা আর স্থানীয় সার কীটনাশকের দোকানে ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ঋণ মুক্ত হবে। ২৫০ শতক জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আগাম আবাদ করেছেন। এক রাতেই সব স্বপ্ন পুড়লো তার। দুটি এনজিওকে ৯০ হাজার টাকা ঋণের বিপরীতে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয় ২৩শ টাকা। কিন্তু স্বপ্নের ক্ষেত পুড়ে ছাই হওয়ায় গলার কাটা হয়ে দাঁড়ালো ঋণের বোঝা।
গ্রামের প্রশান্ত কুমার রায় মাষ্টার্স শেষ করে চাকরীর পিছনে না ছুটে আম লিচুর বাগান গড়ে তোলেন। তার বাগানে ৫০টি লিচুর ও ১৫০টি আমের গাছ রয়েছে। কিন্তু ওই রাতে তার বাগানও পুড়ে যায়। গত বছর বাগান থেকে দেড় লাখ টাকার আম-লিচু বিক্রি করেছিল। সে আশায় এবারও বুক বেঁধে ছিল প্রশান্ত। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি।
প্রশান্ত রায়ের দাবি কোল্ডস্টোরেজ থেকে বের হওয়া গ্যাসে তার বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে গাছের পাতা আর আম লিচুর মুকুল। এতে তাকে দেড় লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি গুনতে হবে। শুধু জহর লাল ও প্রশান্তই নয়, তাদের মতো ওই গ্রামের ৭০ জন কৃষকের ফসলের ক্ষেত পুড়ে গেছে উত্তর ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থিত আমানত কোল্ডস্টোরেজ থেকে বের হওয়া গ্যাসে।
গত সোমবার দিবাগত রাতে পাইপ ফেটে গ্যাস বের হলে আশপাশের মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, ভুট্টা, শিম, শষা, আম ও লিচুর বাগান পুড়ে যায়। মঙ্গলবার বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা একত্রিত হয়ে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ওই কোল্ড স্টোরেজে গেলে মালিক পক্ষ তালা মেরে দেয়। পরে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেয় কোল্ড স্টোর মালিক। এতে চাষিরা ফিরে গেলেও বুধবার ওই এলাকায় আবারো প্রতিবাদে নামে কৃষকরা। তাদের দাবি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু মালিক পক্ষ বলছে, গাছে পানি ছিটিয়ে গাছ বাঁচাতে হবে। এতে ফিরে আসবে গাছের প্রাণ। কিন্তু তা মানতে নারাজ ওই এলাকার কৃষকরা।
ক্ষতিগ্রস্তÍ ভবেশ রায়ের দাবি, এখন গাছে ফুল এসেছে। ১৫ দিনের মধ্যেই ফল আসতো। বর্তমানে পোড়া গাছ পানি দিয়ে সচল করে ফল আসতে আরো দেরি হবে। শুধু তাই নয়, মরা গাছ জীবিত করলে সে গাছে ফলনও অনেক কম হবে।
ঘটনার পর বুধবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত পরিদর্শনে যান আমানত কোল্ডস্টোরেজের মালিক মো. আব্দুল্লাহ ও রমজান আলী। এ ব্যাপারে তিনি জানান, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। আসলে মেশিনারী জিনিস তাই কখন কি হয় বলা যায় না। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এতে আমাদের নিজেদেরও খারাপ লাগছে। আমরা চেষ্টা করছি গাছগুলো বাঁচাতে। এরপরেও যদি ক্ষতিপূরণ দিতে হয় তা দেয়া হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ওই কোল্ড স্টোরেজ থেকে এ্যামোনিয়াম গ্যাস নির্গত হয়েছে। ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার উপ-সহকারি কৃষি অফিসার ক্ষতিগ্রস্তÍ কৃষকের তালিকা তৈরি করেছে। সেই হিসাবে ৭০ জন কৃষকের ৩৫ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ওই কোল্ড স্টোরেজের মালিককে কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তা না হলে মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।