পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন নিয়ন্ত্রনে সরকার সফল হয়েছে।তিনি বলেন জঙ্গী গোষ্টি যেভাবে মাথাছাড়া দিয়ে উঠছিল প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্তে তা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন চাঁদের উপরে সাঈদীকে দেখা যায় বলে একটি গোষ্টি দেশে যে তান্ডব শুরু করে দিল। আর সে তান্ডবে দু-শতাধিক লোক হত হল। তান্ডবে ২১ জন পুলিশকে হত্যা করল। আপনারা জানেন রাজশাহীতে একজন পুলিশ সদস্যর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করল। তিনি আরো বলেন ইতালিয়ান নাগরিক ব্যবসা ও এনজিউদের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশে এসেছিল তাকেও হত্যা করা হল। তিনে বলেন জঙ্গী গোষ্টি গুলশানে হলি আর্টিজান,শোলাকিয়া ঈদগাহে,মুহাম্মদপুরে,বান্দরবানে বৌদ্ব ভিক্ষুককে ও পঞ্চগরে মন্দিরে পুরোহীতকে হত্য করল আমরা দেখেছি। তিনি বলেন আমি সবসময় বলেছি এর পিছনে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র রয়েছে। এসবের মাঝেও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চরম ধৈর্য্যর মাধ্যমে এসব কিছু মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন।
স্বরাষ্ট মন্ত্রী বলেন বর্তমান সরকার সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জঙ্গি বিরোধী কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্বে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন। তিনি বলেন মাদক বিক্রয় কারীদের হুশিয়ারী করে দিচ্ছি এ ব্যবসা ছেড়ে দেন। যারা মাদকে জড়িত থাকবে তাদের ছাড় দেওয়া হবেনা। তিনি বলেন মাদক যে কত ভয়ংকর নেশা আমাদের পুলিশ অফিসারদের কাছে এসে অনেক ভুক্তভোগী পিতা-মাতা বলেন আমার ছেলেকে জেলে দেন। তিনি বলেন প্রতিটি ধর্মে মাদক দ্রব্য সেবনে নিষেদ রয়েছে। তিনি বলেন আমাদের ধর্ম ইসলাম,শান্তির ধর্ম,সেখানে বারবার বারবার নিষেদ করা হয়েছে মাদকের ব্যাপারে। মাদক কত ভয়ঙ্কর নেশা আমাদের তরুন প্রজম্ম,মেধাবী যুবকদের মেধা নষ্ট করে দেয়। তিনি বলেন আমি আহবান করছি যারা মাদক ব্যাবসা বাণিজ্য করেন এ ব্যাবসা ত্যাগ করে আল্লাহর দুনিয়ায় অনেক ব্যাবসা আছে,সে ব্যাবসায় চলে যান। এটি ধর্মে বারবার নিষেদ রয়েছে। তিনি বলেন মাদক নির্মুলে আমরা নতুন আইনও করেছি আবার সে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মাদক নির্মুলও করছি। তিনি বলেন আমি দেশের বহু প্রান্তে গুরেছি কিন্তু রাউজান দেখেছি অনন্য সুন্দর। তিনি বলেন মাষ্টারদা সূর্যসেনের রাউজানের এমপি ফজলে করিম চৌধুরী মাদক,সন্ত্রাস,হরতাল মুক্ত,ইভটিজিং মুক্ত,বাল্য বিবাহ মুক্ত রাউজান উপজেলা গড়েছেন সেজন্য আমি ধন্যবাদ জানাই তাকে। তিনি বলেন আসুন আমরা এক হয়ে ২০২১-২০৪১ বাংলাদেশ দেখতে চায়। তিনি ডাকসুর নির্বাচন সুন্দর হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রাউজান সদর একে এম ফজলুল কবির চৌধুরী অডেটোরিয়ামে মাদক ও জঙ্গী বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
রাউজান উপজেলা প্রশাসন সমাবেশেটির আয়োজন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম হোসেন রেজার সভাপতিত্বে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিক্সন চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজান থেকে চারবারের নির্বাচিত সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক,জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ মাশহুদুল কবির,রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল।
উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা কাজী আব্দুল ওহাব,কামাল উদ্দিন আহমেদ,বশির উদ্দিন খান,আলমগীর আলী,নজরুল ইসলাম চৌধুরী,উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ,সেক্রেটারী সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল,ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্জ নুর মোহাম্মদ,ফৌজিয়া খানম মিনা,ওসি কেপায়েত উল্লাহ,মুক্তিযুদ্ধা তোফায়েল আহমেদ,আবু জাফর চৌধুরী,থানা আওয়ামীলীগ সদস্য সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা,ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধা শফিকুল ইসলাম,আলহাজ্ব আবদুর রহমান,আলহাজ্ব দিদারুল আলম,বিএম জসীম উদ্দিন হিরু,মুক্তিযুদ্ধা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ,সরোয়ারর্দি সিকদার,ভুপেষ বড়–য়া,সাহাবুদ্দিন আরিফ,প্রিয়তোষ চেšধুরী,তসলিম উদ্দিন চেšধুরী,সুকুমার বড়–য়া,নুরুল আবছার,রোকন উদ্দিন প্রমুখ। এর আগে মন্ত্রী সকাল সাড়ে ১১টায় রাউজান থানার সম্প্রাসারিত ভবনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। বিকালে তিনি কাপ্তাই রোডে ফায়ার ষ্টেশন,এসপি সার্কেলের ভবন ভিত্তি প্রস্তর এবং পুর্বগুজরা তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধণ,সর্বশেষ প্রস্তাবিত দক্ষিণ রাউজান থানা ভবন ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।