Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : লাহিড়ী উপ-স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটিকে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু চিকিৎসা কেন্দ্রে রূপান্তরের আবেদন

প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  আছে এবং সেখানে ইউনিয়ন প্রায় ৮টি। এই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ এবং জেলা সদরের কয়েকটি ইউনিয়ন যেমন আখানগর, চিলারাং ও পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার লোকজনও চিকিৎসাসেবা নিতে এই হাসপাতালে আসে। কিন্তু এত মানুষের জন্য মাত্র একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষে মোটেও প্রকৃত সেবা প্রদান করা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ইউনিয়নগুলো থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই দীর্ঘ দূরত্বের কারণে জরুরি কোনো রোগীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে গর্ভবতী মা ও শিশুরা। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য উপজেলার লাহিড়ী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু চিকিৎসাকেন্দ্রে রূপান্তর করা হলে এ অঞ্চলের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ উপকৃত হবে এবং এর সুফল ভোগ করবে। সরকার ইতোমধ্যে নব্বইটি মা ও শিশু চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ অবস্থায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী আঞ্চলিক উপ-স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটিকে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু চিকিৎসা কেন্দ্রে রূপান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
রেজওয়ান মুকুল
বামুনিয়া বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও।

কাজীপাড়ায় পানির জন্য হাহাকার
রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়ার বসুন্ধরা গলিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে পানির সংকট। মাঝে-মধ্যে যৎসামান্য পানি  আসামাত্রই বাসিন্দাদের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকরা চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকে কখন ওয়াসার লাইনে পানি পাওয়া যাবে। রান্নাবান্না তো দূরের কথা খাবার পানিটুকুও পাওয়া যায় না। অন্য এলাকায় আত্মীয়স্বজনের বাসায় গিয়ে ৩/৪ দিন অন্তর গোসল সারলেও অতীব জরুরি প্রাকৃতিক কাজ সারাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। মাঝে-মধ্যে ওয়াসার ছোট ছোট ট্রলি কিংবা ভ্যানে পানি এলে এলাকাবাসী হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ওয়াসার স্থানীয় কার্যালয়ে অভিযোগ করেও ফলপ্রসূ কোনো সমাধান কিংবা দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। তাই আমরা এলাবাসাী জরুরি ভিত্তিতে পানির এই হাহাকার দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মো. আবদুল বাসেত আকন
কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

সমস্যায় জর্জরিত এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলাধীন ডাকাতিয়া ইউনিয়নে হিজুলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত। আজ দশ বছর ধরে বিদ্যালয়ে কোনো প্রধান শিক্ষক নেই। যেখানে বিদ্যালয়টিতে ৫ জন শিক্ষক থাকার কথা সেখানে মাত্র ২ জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে।
৮ বছর ধরে এখানে কোনো ম্যানেজিং কমিটি ও অ্যাডহক কমিটি নেই। বিদ্যালয়টির খেলার মাঠে অধিকাংশ পাশের এক পুকুরে ধসে পড়েছে। বিদ্যালয়টির ভবনের চালের ওপর একটি বাঁশঝাড় চেপে বসেছে। ফলে মশার কামড়ে ছাত্রছাত্রীদের অসুখ লেগেই থাকে।
এখানে শরীরচর্চা ক্লাস নেই বহুদিন ধরে। ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় এখানকার শিক্ষকরা নিজেদের ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে আসেন ও যান। সেজন্য অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। বিদ্যালয়টির সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. নুরুল ইসলাম (নুরু)
গ্রাম ও ডাকঘর : ডাকাতিয়া, ভালুকা, ময়মনসিংহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন