পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাতিষ্ঠানিক টিম ছিলো। দীর্ঘদিন ধরে ওইসব সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে কেউ কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এ কারণে দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক টিম বিলুপ্ত করা হয়েছে। গতকাল (বুধবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রাজউকের উপর গণশুনানিতে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এ সব কথা বলেন।
রাজউকের বিভিন্ন কার্যক্রমে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীদের নিয়ে দুদক এ গণশুনানির আয়োজন করে। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, সাধারণ মানুষের ধারণা রয়েছে, রাজউকে সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়। এটা অনেকটাই সত্যি। তিনি বলেন, ‘রাজউক, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি দূর করতে প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে দুদক। কিন্তু দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি দূর করার পরিবর্তে টিমগুলো দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। তাই আমরা টিমগুলো বিলুপ্ত করি। প্রাতিষ্ঠানিক টিমগুলো বিলুপ্ত করার পর গণশুনানি করার সিদ্ধান্ত নেই। দুদকের এ কমিশনার বলেন, মানুষের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করতে ও মানুষ যাতে সেবা পেতে পারে সে জন্যই গণশুনানি করছে দুদক।
এর আগে বেলুন ওড়ানোর পর গণশুনানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান। এরপর শান্তির পায়রা উড়ান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান জিএম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া, দুদক মহাপরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, মহাপরিচালক ড. মো. শামসুল আরেফিন, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মো. নাসিম আনোয়ারসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গণশুনানি
জায়গার সমস্যা নিয়ে কেউ কেউ বছরের পর বছর রাজউকে ঘুরেছেন। সমাধান মেলেনি। ফাইল কোথায় কেউ জানেন না। কর্মকর্তাদের কেউ কেউ কথাই বলেন না। অবশ্য চাহিদা অনুযায়ী অর্থ দিলে অবস্থা ভিন্ন। কর্মকর্তারাও কথা বলেন। ফাইলও চলে দ্রুত। রাজউকের সেবা নিয়ে গণশুনানিতে এসে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সেবাবঞ্চিত সাধারণ জনগণ। দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। রাজউকে ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করেছেন মন্ত্রীও। বলেছেন, রাজউকে জনবলের অভাব। যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, রাজউক কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে প্লান করে। কিন্তু দেখা যায়, প্রতিটি বিল্ডিংয়ে তা ঠিকঠাক প্রয়োগ হচ্ছে না। প্রতিটি বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রেই তো রাজউক ফিতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। এক্ষেত্রে নাগরিকদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। তবে আমি মনে করি, জনবল কম হলেও আমাদের (রাজউক) অথরাইজড অফিসার আছেন। তাদের সেগুলো দেখা দরকার ছিল বলেন মন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর গণশুনানির কার্যক্রম শুরু হয়। এতে মূলমঞ্চের বামদিকে বসেন ভুক্তভোগী জনগণ। ডানপাশে ছিলেন রাজউকের কর্মকর্তারা। মাঝে বসে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আখতার হোসেন ভুঁইয়া।
গণশুনানি চলাকালে দর্শক সারিতে ছিলেন দুদকের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান ও রাজউকের চেয়ারম্যান জিএম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনার (অনুসন্ধান) নাসিরউদ্দীন আহমেদ, সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, মহাপরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, মহাপরিচালক ড. মো. শামসুল আরেফিন, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মো. নাসিম আনোয়ারসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।