পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হামলা এবং উস্কানি বেড়ে যাচ্ছে বলে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচডব্লিউও) ২০১৬ সালের রিপোর্টে তারই প্রতিফলন দেখা গেল। ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে, মত প্রকাশ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা সামলাতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে।
‘উদ্বেগের বিষয় হলো ক্ষমতাসীন বিজেপির কিছু নেতার মুসলিম-বিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
উদাহরণ হিসাবে এইচডব্লিউও গরুর গোশত লুকিয়ে রাখার গুজবে সম্প্রতি একজন মুসলিমকে পিটিয়ে মারার ঘটনা উল্লেখ করেছে। লেখা হয়েছে, এই হত্যাকা-ের পর ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে, কিছু বিজেপি নেতারা সেসময় হত্যাকা-ের ঘটনা বাদ দিয়ে প্রতিবাদকারীদের প্রতিই আক্রমণ শানিয়েছেন।
সংস্থার রিপোর্টে আরও লেখা হয়েছে, সরকারের সমালোচনা করছে এমন নাগরিক সংগঠনগুলো যাতে বিদেশি সাহায্য না পায় সে লক্ষ্যে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।
ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সরকার দেশদ্রোহ, মানহানি বা ঘৃণা ছড়ানোর বিরুদ্ধে যে সব আইন-কানুন রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করছে।
তিস্তা সেতালভাদ এবং জাভেদ নামে দু’জন মানবাধিকার কর্মী যখন ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের কথা বলেন, সরকার তখন তাদের ‘দেশ-বিরোধী’ বলে আখ্যা দেয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলছেন, ‘ভিন্নমতকে সরকার যেভাবে দমন করছে, তাতে স্বাধীন মত প্রকাশে ভারতের দীর্ঘদিনের যে ঐতিহ্য খাটো করা হচ্ছে।’
‘ভারত সব সময় বিশ্বের বড় বড় ইস্যুতে ভূমিকা রাখতে চায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাতে খুবই আগ্রহী, কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশের ভেতর ও বাইরে মানবাধিকার রক্ষায় ভারতের দুর্বল রেকর্ড উন্নত করার উদ্যোগ নিতে তিনি ব্যর্থ।’ সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।