পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : দেশের গণমাধ্যম এখন যেন গণমাধ্যমে নেই; হয়ে গেছে প্রচার মাধ্যম। বিশেষ করে কর্পোরেট হাউজ পরিচালিত মিডিয়াগুলো খবরে এমন সব শব্দের ব্যবহার করা হয় যা কাউকে উপরে তোলা আবার কাউকে নীচে নামানোর বিজ্ঞাপনের নামান্তর। গত কয়েক বছরে দেশে মিডিয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। বলা যায়, দেশে মিডিয়া সেক্টরে বিপ্লব ঘটেছে। কিন্তু এতোগুলো মিডিয়া প্রতিষ্ঠার পরও গণমাধ্যম দেশের আমজনতার কতটুকু উপকারে এসেছে? গণমানুষের ভোট-ভাতের অধিকার, সংকট-সম্ভাবনা, সুখ-দুঃখের কথা কতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে; আর রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি বিশেষকে খুশি করা কতটুকু গুরুত্ব পাচ্ছে মিডিয়ায়? এ নিয়ে ভবিষ্যতে হয়তো গবেষণা হবে।
দেশে চলছে কার্যত হিংসা-বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি। জনসেবার বদলে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির চর্চা গুরুত্ব পাওয়ায় সেই ’৮০ দশক থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘বিদেশ নির্ভরতা’ দেখা যায়। ’৯০-এ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসে বু্িদ্ধজীবীদের দৌড়ঝাঁপ যে শুরু হলো তা এখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সেটাই নিত্যচর্চা হচ্ছে। ভোটের জন্য বড় দলগুলো যত না জনগণের কাছে যান তার চেয়ে বেশি দৌড়ান বিদেশী দূতাবাসে। কারণ, তারা ‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস’ মনে করেন না; মনে করেন ‘প্রভাবশালী দেশের হাতেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার চাবিকাঠি’। নেতা-নেত্রীদের বিশ্বাস আমেরিকা-ভারতের গ্রীন সিগন্যাল ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া দুরূহ। সে বিশ্বাস থেকেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতনির্ভরতা বাড়ছে। দিল্লীর সাউথ ব্লককে খুশি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আরএসএসের ভাবশীর্ষ বিজেপির মতো হিন্দুত্ববাদী দলের নেতাদের তোয়াজ চলছে। তিস্তার পানি, সীমান্ত হত্যা, ট্রানজিট, টিপাইমুখে বাঁধ, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যাওয়া, ভারতে নিত্যদিন মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানো এগুলো নেতা-নেত্রীদের কাছে গুরুত্বহীন। ভাবখানা তিস্তায় পানি না এলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের (রাজনীতিক) কি? সোনার হরিণ ‘ক্ষমতা’ আমার চাই-ই। দেশের জাতীয় সমস্যা ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি অধিকাংশ মিডিয়া খবরে গুরুত্ব দেন না; তাদের নিউজে গুরুত্ব অন্য কোথাও অন্যকোনো খানে। বর্তমানে মিডিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো আসলাম চৌধুরী। দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলো ব্যবসায়ী আসলাম চৌধুরী। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী কাম অখ্যাত এই রাজনীতিক রাতারাতি বিখ্যাত (!) হয়ে উঠলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় অনেক সিনিয়র নেতা এমনকি বিএনপির বিট করেন এমন অনেক সাংবাদিকও বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ(!) এই নেতাকে চিনতেন না। হঠাৎ সেই আসলাম সবাইকে টপকিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে গেলেন। সেই আসলাম স্বাধীন সার্বভৌম দেশের (যে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে) সরকারকে উৎখাত করতে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। সেটা আবার করেছে বর্তমান সরকারকে যারা ক্ষমতায় আনতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সেই ভারতের মাটিতে বসে! পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার, আফগানিস্তানে বসে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করলে হয়তো মানুষের বিশ্বাস করা সহজ হতো। কিন্তু ভারতে বসে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র! নেকড়ের ঘরে বিড়ালের ষড়যন্ত্র!
ভারতের আগ্রায় মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করা আসলামের গ্রেফতারের পর ১৬ মে আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। ওই দিন সকালে বিএনপির কয়েকজন নেতা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় ঢাকায় সফররত মার্কিন মুখ্য উপসহকারী মন্ত্রী উইলিয়াম ই টডের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. রিয়াজ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাটও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর বিএনপির নেতারা অর্ধশত টিভির ক্যামেরার সামনে গিয়ে গাড়ীতে উঠলেন। বললেন, ‘বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল; তাই সাক্ষাতে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনায় অনেক প্রসঙ্গই থাকতেই পারে’। টিভি ক্যামেরা তাদের গাড়িতে উঠার দৃশ্য দেখানো হয়। নেতারা গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে চলে যান। ঢাকায় সফররত উইলিয়াম ই টড অতঃপর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা থেকে শুরু করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সচিবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। এর আগের দিন নাগরিক সমাজ, বিদেশি কূটনীতিক ও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ওই কর্মকর্তা। কিন্তু টিভিগুলোতে যে ভাবে খবর প্রচার করা হলো এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রচার করা হলো তাতে মনে হলো বিএনপি যেন কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল। কর্পোরেট হাউজ পরিচালিত অধিকাংশ টিভিতে প্রায় অভিন্ন শব্দ চয়নেই খবরটি প্রচার করা হয়। একজন মন্ত্রীর ভাই পরিচালিত (ওই মন্ত্রী আদালতে দ-প্রাপ্ত) টিভিসহ কয়েকটি টিভির খবরে মোসাদ কানেকশন ইস্যুতে আসলামের গ্রেফতার এবং উইলিয়াম ই টডের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠকের খবরে যে সব শব্দের ব্যবহারে উপস্থাপন করা হয় তা সাংবাদিকতার কোন নীতিমালায় পড়ে বোঝা কঠিন। খবর এমন ভাবে সাজানো হয় যে বাংলাদেশ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের দায়ে অভিযুক্ত আসলামকে পুলিশ যখন রিমান্ডে নিয়েছে তখন ইহুদিদের দোসর মার্কিন সহকারী মন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি নেতাদের গোপন (!) বৈঠক কাক্সিক্ষত নয়। সময়টা খুবই স্পর্শকাতর এবং বৈঠকে ইসরাইল নিয়েই শলাপরামর্শ হয়েছে! মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় কি পরামর্শ হলো বা কি নিয়ে কথা হলো তা ষড়যন্ত্রের নামান্তর হিসেবেই খবরে টিভির দর্শক-শ্রোতাদের ধারণা দেয়া হলো। আসলাম পুলিশী রিমান্ডে থাকাবস্থায় মার্কিন মুখ্য উপসহকারী মন্ত্রী উইলিয়াম ই টডের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের গোপন বৈঠক যে অনাকাক্সিক্ষত তার সপক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরতে টকশোর বদৌলতে হঠাৎ বুদ্ধিজীবী হয়ে উঠা সবজান্তা টকারু মেজর জেনারেল (অব) আবদুর রশিদের সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয় খবরে। তিনি গুরু-গম্ভীর ভাবগাম্ভীর্যে বললেন, ‘বিএনপির নেতাদের সঙ্গে মার্কিন মুখ্য উপসহকারী মন্ত্রীর বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে জানিনা। তবে এ মুহূর্তে এ ধরনের বৈঠক কাক্সিক্ষত নয়’। আরো কিছু কথা বলেছেন ওই সবজান্তা বুদ্ধিজীবী! তার কথা শুনে মনে হলো বিএনপি যেন গণধিকৃত কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল। ওবামা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতার সঙ্গে এ মুূহূর্তে তাদের বৈঠক করার সুযোগ দেয়া উচিত হয়নি। বাস্তবতা হলো দেশের সবচেয়ে বড় দু’টি রাজনৈতিক দলের অন্যতম হলো বিএনপি। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলটি সংসদে না থাকলেও জাতিসংঘসহ প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থাগুলো এখনো বাংলাদেশে বিরোধী দল বলতে বিএনপিকেই বোঝে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনের আগে সরকারি পর্যায়ে, বিভিন্ন মিডিয়া এবং বিদেশী সংস্থা যে ১০/১২টি জরীপ করেছে; প্রতিটিতে দেশের শতকরা ৭০ থেকে ৮৫ ভাগ মানুষ জানিয়েছেন নির্বাচন হলে তারা বিএনপিতে ভোট দেবেন। সেই দল নিয়ে এ কেমন দৃষ্টিভঙ্গি?
ইসলাইলের নাগরিক মেনদি এন সাফাদির সঙ্গে বিএনপিতে হঠাৎ গজিয়ে উঠা (অনেকে মনে করেন টাকার জোরে পদ পেয়েছেন) নেতা আসলামের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। ওই সাফাদিকে গুপ্তচর হিসেবে উল্লেখ করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ও সুশীলরা। বিবিসির খবরে বলা হয়, যারা সাফাদিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভারতে এনেছিলেন তারা বলেছেন মেনদি এন সাফাদি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কেউ নন। তিনি ইসরাইলের একজন গবেষক ও রাজনীতিক। ভারত-ইসরাইল সুসম্পর্কের কারণেই তিনি ভারতে ঘন ঘন আসা যাওয়া করেন। আগ্রা সিটির মেয়রের উপস্থিতিতে মি সাফাদি ও আসলামের দেখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেখানেই ফুলের মালা পরিয়ে ছবি তোলা হয়। অথচ আগ্রার মেয়র ইন্দ্রজিৎ বাল্মিকী বিবিসিকে বলেছেন, ওই অনুষ্ঠানে তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হলেও হয়ে থাকতে পারে। তবে এতোগুলো মানুষের মধ্যে আসলাম চৌধুরী নামে কাউকে তিনি চিনতেন না। বিবিসির খবরে বলা হয়, মনদি এন সাফাদি ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সম্প্রতি ভারত-ইসরাইল সম্পর্কের কারণে তিনি প্রায়ই ভারতে এসেছেন। ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস নামে একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সাফাদির সঙ্গে ভারতের একাধিক বিশেষজ্ঞের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এমনই একজন হলেন, মেজর জেনারেল গগনদীপ বক্সী। যার সঙ্গে দিল্লিতে একটি সেমিনারে মি সাফাদির আলাপ হয়। মি সাফাদিকে বাংলাদেশে একজন গুপ্তচর হিসাবে সন্দেহ করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন জেনারেল বক্সি।
’৭১-এ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিশ্বদরবারে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যুদয় ঘটেছে বাংলাদেশের। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশ মানমর্যাদায় বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে উপরে। সেই দেশের সরকারকে উৎখাত করবে ইসরাইলের মোসাদের সহায়তায় বিএনপির অখ্যাত নেতা চিটাগাং-এর মটকু আসলাম ! বিশ্বরাজনীতির এতো প্রভাব রাখেন এমন নেতা বিএনপিতে রয়েছে? তাহলে আসলাম চৌধুরীর মতো নেতা থাকতে দেশে বিপুল জনসমর্থন থাকার পরও দলটি একের পর এক মার খাচ্ছে কেন? ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল যে ভারত সেখানে বসে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে আসলাম? সেটা আবার মুসলমানদের শত্রু ইসরাইলের সহায়তায়? আসলাম এখন পুলিশ হেফাজতে। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে হয়তো প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে। কিন্তু তার মতো দলের একজন নেতা গ্রেফতারের কারণে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠকের সুযোগ দেয়া উচিত নয়? মিডিয়াগুলো মোসাদ-আসলাম কানেকশন তুলে ধরছে এবং তারা ভারতের বুকের ওপর বসে বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের নকশা করছে; অথচ দিল্লী বুঝতে পারছে না? নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসন কি ফিডারে দুধ খায়? আর এতো মেধাবী এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংযোগ রয়েছে এমন নেতা থাকার পরও বিএনপির কেন এই হাল? মিডিয়ার দায়িত্ব খবরে ঘটনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা। দেশের মিডিয়াগুলোই কেন এভাবে পক্ষপাতিত্বমূলকভাবে খবর তুলে ধরছে? টকশোগুলোতে বিএনপির নেতাদের যেভাবে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করা হয়; তাহলে কি বিএনপি এদেশে নিষিদ্ধ কোনো রাজনৈতিক দল? না হলে কেন এমন আচরণ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।