Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় তারানকোর উদ্যোগের ইঙ্গিত

প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তরণে জাতিসংঘ সহকারী মহাসচিব (বর্তমানে জাতিসংঘের পিসবিল্ডিং সাপোর্ট’র দায়িত্বে নিয়োজিত) অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো আবারো কাজ শুরু করতে পারেন বলে আভাস দিয়েছে এ সংস্থাটি। একই সঙ্গে বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় অজ্ঞাতদের হাতে ধাম্মা ওয়াসা মং শৈ উ চাক নামে এক ভিক্ষুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গত সোমবার জাতিসংঘ সদর দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তরে একথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিবের সহকারী মুখপাত্র ফারহান হক। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর করা প্রশ্নে ফারহান হক এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের প্রশ্নোত্তর পর্বের বাংলাদেশ অংশ নিচে তুলে ধরা হলো:
সহকারী মুখপাত্র: হ্যাঁ, মুশফিকুল বলুন।
প্রশ্ন: ধন্যবাদ। জনাব ফারহান। বাংলাদেশে দক্ষিণ-পূর্বের একটি জেলায় ৭৫ বছর বয়স্ক এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আর এটা যেনো বাংলাদেশের একটা স্বাভাবিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই এসব ঘটনা ঘটছে। সন্ন্যাসী হত্যার ঘটনা মাত্র একদিন পূর্বে ঘটলো।
অপরদিকে সরকার, দেশের প্রধান বিরোধীদলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করছে, শত শত মামলা দায়ের করছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে তার পক্ষে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ একটি নির্বাচন আয়োজনে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি কি তার কাজ অব্যাহত রেখেছেন?
সহকারী মুখপাত্র : আপনি জানেন যে, জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষ থেকে তারানকো শান্তি রক্ষা সংক্রান্ত সহকারী মহাসচিব হিসেবে কাজ করছিলেন। অতীতে তিনি এ কাজের জন্য বাংলাদেশ সফরেও গিয়েছেন, যদি পরিস্থিতি বাধ্য করে তাহলে তিনি হয়তো আবার সংকট উত্তরণের জন্য তার কাজ শুরু করবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর নিজেদের মধ্যে একটি সমঝোতায় উপনীত হওয়া জরুরি। আমরা দলগুলোকে সেদিকেই উৎসাহিত করি যাতে করে তারা শান্তিপূর্ণ সহায়ক পন্থায় তা সম্পন্ন করে।
আমরা অবশ্যই, ব্লগার, হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ অন্যদের উপর আক্রমণকে চরম উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করি। এ ইস্যুটা পুরোপুরি ব্যতিক্রম, চরমপন্থীরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপর হামলা করছে। আপনি এ ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিব ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ নিশ্চয় লক্ষ্য করে থাকবেন। আজকেও আমরা একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি মুনের পক্ষে একাধিকবার বাংলাদেশ সফর করে ওই সময়কার জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। ওই সময় তারানকো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও সুশীল সমাজের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। কিন্তু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার ওই উদ্যোগ ভেস্তে যায়। শেষ পর্যন্ত প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যেই ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় তারানকোর উদ্যোগের ইঙ্গিত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ