পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লায় সার সেক্টরে এ যাবৎকালের বড় দুর্নীতির ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার সার গায়েব করে দিয়েছে তিন কর্মকর্তা। ওদের দুইজন জেলহাজতে থাকলেও অপর সারখেকো ফয়েজকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা কার্যালয় আলোচিত মামলাটি তদন্ত করছে। আইন-শৃঙ্খলা কমিটির আলোচনায় ওই ঘটনা গুরুত্বের সাথে উঠে এসেছে।
সার নিয়ে কুমিল্লায় ইতোপূর্বে কোন কেলেংকারির ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি সরকারের সময়ে সারের সংকট ছিল। কৃষকরা সারের জন্য পাগলপ্রায় হয়ে পড়তো। সারাদেশে ২১ জন কৃষক প্রাণ দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সার কৃষকদের খুঁজে। কুমিল্লায় বিএডিসির বিভিন্ন গুদামে যখন সারের বিপুল মজুদ আর তখনই সার আত্মসাতের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে কুমিল্লার দাউদকান্দির সার গুদামের তিন কর্মকর্তা। ঘটনাটি গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে হলেও ওই সারের ঘটনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলোতে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এক/দুই লাখ টাকার সার নয়, গুনে গুনে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির গত সভাতে দাউদকান্দির গুদামে সার আত্মসাতের ঘটনা আলোচনায় তুলে আনেন জেলা পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন। তিনি বলেছেন, ওই কর্মকর্তারা চাকরি জীবনে সার নিয়ে আরও ছোটখাটো দুর্নীতি করেছে। যা চোখে পড়েনি। কিন্তু এবারে বড় অংকের টাকার সার আত্মসাতের ঘটনা সামলাতে পারেনি। সারখেকো দুর্নীতিবাজদের শাস্তি যেমন চাইছি তেমনি দ্রুত প্রক্রিয়ায় আত্মসাৎকৃত সারের সমমূল্যের ওই টাকা উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হোক। আর এ কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে দুদকের অগ্রগণ্য ভূমিকা দরকার। ইতোপূর্বে দুর্নীতির অর্থ বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার নজির দেখিয়েছে দুদক।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ঢাকার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন গত বছরের ২১ ডিসেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দি থানায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারায় দাউদকান্দির সার গুদামের সাবেক সহকারী ভা-ার কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী পরিচালক ফয়েজ আহম্মদ ও বর্তমান ভা-ার রক্ষক রিয়াজ উদ্দিন আখন্দের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. নুরুল হুদা তদন্ত করছেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কুমিল্লার দাউদকান্দি গুদামে খাতা-কলমে সার ঠিক রাখলেও চাক্ষুষ যাচাইয়ে টিএসপি, এমওপি এবং ডিএপি সার সারের ১ হাজার ৬১৪ মেট্রিক টন ঘাটতি পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৯ টাকা দাঁড়ায়। আর ওই তিন কর্মকর্তা ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে সরকারের ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে। মামলা দায়েরের সময় রফিকুল ইসলাম ও রিয়াজ উদ্দিন আখন্দকে আটক করে থানায় সোপর্দের পর আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠায়। কিন্তু মামলা দায়েরের পর বর্তমান কর্মস্থল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেড্ডা সার বিক্রয় কেন্দ্র থেকেও লাপাত্তা হয়েছেন উপ-সহকারী পরিচালক সারখেকো ফয়েজ আহম্মদ।
দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ফয়েজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কিন্তু সারখেকো ফয়েজ গা ঢাকা দিয়েছে। এদিকে আটক দুই আসামীকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় দুদক। গতকাল (বুধবার) মামলার ধার্য তারিখে রিমান্ডে দুই আসামীর জবানবন্দির বিষয়টি সিনিয়র জুডিশিায়ল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।