পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে যেতে উদগ্রীব
স্টাফ রিপোর্টার : দালালের খপ্পরে পড়ে জাল ভিসা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাকিস্তানের এক নাগরিক। পাসপোর্ট অফিসের দালালের প্রতারণায় কয়েক দিন কারাবাসের পর দেশে ফিরে যেতে উদগ্রীব হয়ে আছেন। তার চিন্তায় দেশে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মাও অসুস্থ। সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকের মাধ্যমে তরুণী মিনা কুমারীর সঙ্গে পরিচয় হয় পাকিস্তানী যুবক প্রকৌশলী অনিল কুমারের। দীর্ঘ আট বছর পরিচয় ও প্রেম ২০১০ সালের ডিসেম্বরে রূপ নেয় পরিণয়ে। বিয়ে থেকে শুরু করে অনিল একাধিকবার ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে আসেন এবং স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করেন। ২০১২ সালে তিনি পুত্র সন্তানের জনক হন। সন্তানকে দেখতে তিনি এক বছরের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ২০১৩ সালের ৯ মার্চ বাংলাদেশে আসেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে পূর্বের ন্যায় আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ভিসার মেয়াদ বর্ধিত করেন। অনিল গত ১০/০৫/২০১৪ তারিখ পাকিস্তান এয়ারের ০২৬৭ বিমান যোগে নিজ দেশে যাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। বিমান বন্দরের টারমিনাল-৩ এর ৪৪ নং কাউন্টারে বহিঃগমন নিবন্ধন সম্পন্নকালে কাউন্টার অফিসার বাংলাদেশ হতে স্ট্যাম্পকৃত বর্ধিত ভিসা জাল সন্দেহে অনিলিকে ও,সি, ইমিগ্রেশনে প্রেরণ করেন। একই তারিখে অনিল কুমারের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিদর্শক মোস্তফা নূর-ই-বাহার বিমান বন্দর থানায় দ-বিধির ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৬ সনের ফরেনার্স এক্টের ১৪ ধারায় ৪৭(৫)১৪ নং মামলা রুজু করেন। জব্দ করা হয় অনিলের পাসপোর্ট। যাহার নং- এএ৪২২২৭১২, বিমানের টিকেট-৪১৪২১১৮৯৩৯৮৮৯, এবং ০২৬৭ বিমানের বোডিং পাসের অংশ। এক মাস হাজতবাস শেষে গত বছরের ৮ জুন মহানগর দায়রা জজ জহিরুল হক-এর আদালত থেকে তিনি জামিন পান। সেই থেকে বাংলাদেশে আটকে আছেন অনিল।
ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে অনিল বলেন, ভিসার মেয়াদ নবায়ন করতে তার শ্বশুর কিশোর কুমারকে সঙ্গে নিয়ে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে যান। সে সময় মামুন নামে জনৈক ব্যক্তি সেখানের স্টাফ পরিচয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজটি সমাপ্ত করার কথা বলে তার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছিলেন। ভিসার মেয়াদ নবায়ন জাল হলে তা ওই ব্যক্তির মাধ্যমে হয়েছে। অনিল বলেন, তার হাজতবাসের খবর জানতে পেরে পাকিস্তানে বসবাসরত তার বৃদ্ধ বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টেলিফোনে তারা খুবই কান্নাকাটি করেন। নিজ দেশে ফিরে যেতে ব্যাকুল অনিল কুমার মানবিক কারণে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানান।
এদিকে অনিলকে আইনি সহায়তায় এগিয়ে আসা এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন বলেন, অনিল কুমারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অতি নগণ্য। এরূপ ক্ষেত্রে সব দেশেই যাত্রীকে নিজ দেশের বিমানে তুলে দেয়ার রেওয়াজ আছে। আমেরিকা, ইউরোপসহ পৃথিবীর বহু দেশে বহির্গমন নিবন্ধনের কোন ব্যবস্থাই নেই। তিনি বলেন, অনভিজ্ঞতার কারণে অনিল হয়তো পাসপোর্ট অফিসের দালালদের খপ্পরে পড়েছিলেন। যে কারণে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় অনিল এখন অনেক ক্লান্ত। কর্তৃপক্ষের সদয় মনোভাবই পারে তাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠিয়ে একটি জীবনকে রক্ষা করতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।