Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতারণার ভয়ঙ্কর ফাঁদ

র‌্যাবের জালে ১৫ বছরে তিন সহস্রাধিক গ্রেফতার : ১১৬১টি মামলা

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পুরান ঢাকার এক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক হাবিবুল ইসলাম। একদিন হঠাৎ তার মোবাইলে একটি ফোন আসে। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, আমি কাস্টমস কর্মকর্তা মবিন বলছি। বিদেশ থেকে বেশ কিছু লোহার এঙ্গেল এসেছে, যা কাস্টমস জব্দ করেছে। এগুলো কম টাকায় নিলামে বিক্রি করা হবে। আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি ব্যবস্থা করে দেবো। এর পর হাবিবুল প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে ২০ লাখ টাকা খুইয়েছেন। ওই প্রতারণার পর দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পরও দীর্ঘ ২০ মাসে প্রতারক মবিনকে (৫২) পাননি তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সিআইডির একটি দল খন্দকার ফারুক ওরফে ওমর মবিনকে গ্রেফতার করে। মবিনকে গ্রেফতারের পর গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হলে ভুক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক হাবিবুল ইসলাম সিআইডি কার্যালয়ে ছুটে যান এবং প্রতারণার ঘটনাটি সিআইডির কর্মকর্তাদের কাছে খুলে বলেন।
সিআইডি সূত্র জানায়, মবিন প্রতারণার কৌশল হিসেবে একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করত। এর ফলে প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা পরে তাকে আর খুঁজে পেতেন না। চলতি বছরের শুরুতে রাজধানীর বেইলি রোডের নবাবী ভোজ রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে মবিনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের কাছ থেকে মবিনের নামে ছাপানো ভুয়া পরিচয়দানকারী কাস্টমস সহকারী কমিশনারের ১৮টি ভিজিটিং কার্ড, চারটি ব্যাংকের চেকের পাতা, সাতটি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন অপারেটরের ১৩টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। মবিন নিজেকে কাস্টমস কমিশনার বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করত।
এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদ পেতে চার দিকে ওঁৎ পেতে রয়েছে নানা প্রতারক চক্র। রাস্তাঘাট, হাটবাজার, বিপণি বিতান, অফিস-আদালত ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বাস-ট্র্রেন সব জায়গায় রয়েছে প্রতারকদের ফাঁদ। সকাল-সন্ধ্যা যেকোনো সময় যে কেউ অচেনা-অর্ধচেনা লোকের মন ভোলানো নানা তৎপরতায় প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। রাজধানীতে প্রতিদিনই একাধিক মানুষ প্রতারণার শিকার হয়ে হারাচ্ছেন টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, জায়গাজমি। শুধু তাই নয়, প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে প্রায় প্রতি মাসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
ভয়ঙ্কর সব প্রতারণার অভিযোগ থাকলেও নেই প্রতিকার। মামলার পর গ্রেফতার হলেও দ্রæত জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠছে নানা প্রতারক চক্র। রাজধানীতে ২ হাজারের অধিক ব্যক্তি নানা ধরনের প্রতারণার সাথে জড়িত। এদের মধ্যে অনেকেই একাধিকবার গ্রেফতার হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো একই ধরনের অপকর্ম করেন তারা। গত ২ মার্চ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২২ জন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট বানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে গত ১৫ বছরে আনুমানিক ১০০ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ প্রতারক চক্র। মূলত টার্গেট ব্যক্তিদের অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার বানানোর নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে তারা। এই প্রতারক চক্রের প্রতিটি সদস্য প্রতারণাকেই তাদের মূল পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। আর প্রতারণা করতে তারা নিজেদের একটি সংগঠন বানিয়েছে। তাদের এ সংগঠনের একটি সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামোও রয়েছে। যে সংগঠনটি শুধু প্রতারক চক্র গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে আরসিডি (Royal Cheater Development) নামে পরিচিত। গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রের নিজস্ব একটি সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। কাঠামো অনুযায়ী চক্রের সদস্যরা নিজেদেরকে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করে। প্রতারকদের এক-একটি গ্রুপে সাধারণত ৫টি স্তরের সদস্য থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৪২৩ জন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১ হাজার ১৬১টি মামলা দায়ের করা হয়।
র‌্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ খান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রতারক চক্রের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। অল্প সময়ে বেশি পাওয়ার আশায় বা অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। মানুষকে সচেতন না হলে প্রতারক চক্রের প্রতারণা বন্ধ হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে তুলে দেয়া একটি ধাপ। প্রতারণামূলক মামলায় গ্রেফতারকৃতদের দ্রুত বিচার করা সম্ভব হলে প্রতারণা কমে আসবে। গ্রেফতারের পর জামিনে বেরিয়ে একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, প্রায় সময় বিভিন্ন এলাকায় বহু মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। প্রতারণার অভিযোগের ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ করলে তথ্য-প্রমাণ নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই প্রতারণার অভিযোগের তদন্ত দ্রুত সারতে হয়। প্রতারণার শিকার সাধারণ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তারা ক্ষতির শিকার হলেও আইনি সুরক্ষা বা প্রতিকার পাচ্ছেন না, যা সুশাসন বাস্তবায়নে অন্তরায়।
পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকা, অফিস-আদালত, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সক্রিয় রয়েছে প্রতারক ও সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। নানা কায়দায় তারা প্রতারণার ফাঁদ পাতে। সাধারণ সহজ-সরল মানুষই তাদের লক্ষ্য। সুযোগ বুঝেই নানা ছল-চাতুরী ও মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তারা প্রতারণা করছে। এসব প্রতারণার মধ্যে রয়েছে কম দামে জমি বিক্রি, চাকরি প্রদান, কম খরচে বিদেশে প্রেরণ, বিকাশ বা মুঠোফোনে বড় পুরস্কার জেতা, উন্নত ওষুধ বিক্রি, কম দামে বিদেশি ভালো জিনিস বিক্রি, ব্যবসায় বিনিয়োগ করে দ্রুত অধিক মুনাফা অর্জন ও ভাগ্য পরিবর্তন ইত্যাদি। এসব প্রতারণার কৌশলগুলো বিচিত্র ও অভিনব। প্রথমে পরিচয়, তারপর নানা কায়দায় বিশ্বাস জমানো, প্রয়োজনে আগে বিনিয়োগ, এরপর সুযোগ বুঝে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়া ইত্যাদি নানা পর্যায় ও স্তরে চলে প্রতারণায় কার্যসিদ্ধি। রাজধানী ঢাকায় দুই সহস্রাধিক লোক ও প্রতারক চক্র শতাধিক রকমের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তাদের কেউ কেউ ঘটনাচক্রে ধরপাকড় হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার প্রতারণায় জড়াচ্ছে।
ওই সূত্র আরো জানায়, আরসিডির সদস্যরা জমি, কঙ্কাল, কয়েন, মূর্তি, ম্যাগনেট পিলার, সাপের বিষ এবং তক্ষক বিকিকিনিসহ নানা কায়দায় প্রতারণা করে। তা ছাড়া হ্যালো বিজনেজ, আমদানি-রফতানির ব্যবসা এবং মোবাইল ফোনে নামীদামি লোকের পরিচয়েও প্রতারণা করছে আরসিডির সদস্যরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তালিকায় আরসিডির যেসব সদস্যের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে আছে মিরপুর ও শ্যামলী এলাকার হোসেন আলী মাতুব্বর, মোয়াজ্জেম হোসেন এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে রাজীব, উত্তরার জাহাঙ্গীর ওরফে ব্রিফকেস জাহাঙ্গীর, গুলশান-বনানীর শহীদ, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় মহসিন, রামপুরা-বনশ্রী এলাকায় রহিম, উত্তরা-টঙ্গী-গাজীপুর এলাকায় জুয়েল, মোহাম্মদপুর এলাকায় নাসির, কয়েন প্রতারক নান্নু মিয়া, ম্যাগনেট প্রতারক দেবদাস মজুমদার, সাজিদুর রহমান সুজন এবং নাসিরুদ্দিন মুন্সি ওরফে অনোয়ার, পিলার প্রতারক আবদুন নুর, আনছার মিয়া, কদ্দুস মিয়া, আবদুল কাশেম, মশাহিদ মিয়া, আহমদ মিয়া, শহিদ হাওলাদার, বাচ্চু খাঁ, আবদুস সালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন এবং জহির আলী, মূর্তি প্রতারক আবদুর রহিম, আবদুল হালিম, শাহজাহান সিরাজ, নাজমুল হক, মনিন্দ্র চন্দ্র কামাল, রফিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ, আবদুর রহিম, সাপের বিষ প্রতারক আবু হানিফ ওরফে চেয়ারম্যান, আফছার আলী, নজরুল ইসলাম, মুক্তার হোসেন, রহিচ উদ্দিন, সোলায়মান আজাদ এবং তক্ষক প্রতারক ওয়াহিদুজ্জামান ও কামরুল ইসলাম।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অপরাধীরা সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় তাকে। নানা ধরনের প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে হলে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ, চাকরি কিংবা কোনো কিছু ক্রয় করার আগে অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে কাজ করা উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন প্রয়োগ বা অপরাধীদের গ্রেফতার করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, এ জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, গত ১ ও ২ মার্চ রাজধানীর মিরপুর, দারুস সালাম, উত্তরা ও রামপুরা এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় বিপুল পরিমাণ ভুয়া নথিপত্র ও সরঞ্জাম জব্দসহ চক্রের ২২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা কারাগারে রয়েছে। গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রের নিজস্ব একটি সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। কাঠামো অনুযায়ী, চক্রের সদস্যরা নিজেদেরকে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করে। প্রতারকদের এক একটি গ্রুপে সাধারণত ৫টি স্তরের সদস্য থাকে। এগুলো হচ্ছে- সাব-ব্রোকার, ব্রোকার, ম্যানেজার, চেয়ারম্যান (অফিস প্রধান) ও বস।
সম্প্রতি আরো একটি প্রতারণার ঘটনা ঘটে এভাবে
রাজধানীর একটি সরকারি কলেজের লেকচারার রাজিয়া খানমের কাছে হঠাৎ একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। তিনি যে মোবাইল অপারেটরের সিম ব্যবহার করেন, সেই একই অপারেটরের নম্বর। ফোনের ওপাশ থেকে বলা হয়, আমি কাস্টমার সার্ভিস থেকে বলছি। আপনার জন্য একটি সুখবর আছে। আমরা বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনকৃত সিমের মধ্য থেকে একটি লটারি আয়োজন করেছি। আপনার নম্বরটি প্রথম পুরস্কার হিসেবে ২১ লাখ টাকা জিতেছে। প্রথমে রাজিয়া বিশ্বাস না করলেও একপর্যায়ে প্রতারকদের কৌশলের কাছে হেরে যান তিনি। পর্যায়ক্রমে রাজিয়া লটারি জেতার আশায় প্রতারকদের হাতে সাড়ে সাত লাখ টাকা তুলে দেন। যখন বুঝতে পারলেন, তখন একরাশ হতাশা নিয়ে শরণাপন্ন হন পুলিশের।



 

Show all comments
  • Mithu Mahbub ৯ মার্চ, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
    হারামজাদাকে ক্রসে দেওয়া অপরিহার্য !
    Total Reply(0) Reply
  • তসলিম খান সাপোটার্স ফোরাম ৯ মার্চ, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
    প্রতারকের বিচার করা দরকার!
    Total Reply(0) Reply
  • Mosharraf Hossain ৯ মার্চ, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
    চোরের দশদিন আর গৃহস্থের এক দিন। ধরুন শক্ত করে, আইনের ফাক ফোকোর দিয়ে যেন ছাড়ায়ে না যায়। ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mosarraf Hossain ৯ মার্চ, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
    ডাইরেক্ট ক্রস ফায়ার
    Total Reply(0) Reply
  • Faruk Mazumdar ৯ মার্চ, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
    প্রশাসনের নিকট অনুরোদ এদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিন যাতে ২য় বার এ কাজ করতে নাপারে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ismail Hossain Bhuiyan ৯ মার্চ, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
    পিএসদের দিয়েই এমপি মন্ত্রীদের সকল অপকর্মের কাগজপত্র ও অর্থ লেনদেন হয়। ফলে তাদের অপরাধ করার দুঃসাহস বেড়ে যায়। গরম ডিম থেরাপী দেওয়া হউক। এমপির অপকর্মের ব্যাপারে ও তথ্য বের হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mostafa Rahman ৯ মার্চ, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    এতোদিন পুলিশ কি কমিশন খেয়েছিলেন? আর মাত্র প্রকাশ হলো এই প্রতারকের নাম।পুলিশ,কমিশন না পেয়ে এবার প্রকাশ করলো প্রতারকের নাম।।
    Total Reply(0) Reply
  • IK Jewel ৯ মার্চ, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    Made in Bangladesh,all possible
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতারণা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ