পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ২০১৪ সালে গুরুতর আহত গণতন্ত্র এখন আইসিইউতে। একে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বিএনপি। গতকাল রাজধানীতে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘জাতীয় ঐক্যের রাজনীতি, গণতন্ত্র ও সামাজিক উন্নয়নে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই সভা হয়। নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। এই গণতন্ত্রের জন্য শহীদ জিয়া কাজ করেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র তিনি করেছেন। সংসদীয় গণতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া পুনরায় প্রবর্তন করেছেন। আমরা গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করতে চাই। এটাই উদ্যোগ হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, যারা বয়স থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে যায়নি তারা যখন আমাদের নিয়ে কথা বলে তখন তো সহ্য হয় না। শোনা যায়া যারা ইসলামী দলের চিঠি বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন তারা এখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন, শহীদ জিয়া নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যদি পাকিস্তানের চর হয়, তাহলে আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান সাহেবকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিলেন কেনো? যারা এসব করছে তারা তাদের নেতাকে অশ্রদ্ধা করছে। এতটুকু রাজনৈতিক জ্ঞান নেই, তারা আমাদের সমালোচনা করতে গিয়ে তাদের তাদের নেতাকে সমালোচনা করছে, এটুকুও বুঝে না তারা।
তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে কখনই দেশে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র আসতে দিল না, সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগই দেয়া হয়নি। জিয়াউর রহমান সর্বপ্রথম ডান-বাম, মধ্য বাম, মধ্য ডান সবাইকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করেন। মোজাফ্ফর, রাশেদ খান মেননসহ অনেকেই মন্ত্রী এমপি হয়েছেন।
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে- তখন জামায়াতে ইসলামী নামের কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না। জামায়াতে ইসলাম নামে প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ১৯৮৬ সালে; আওয়ামী লীগের সঙ্গে। যে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়। জামায়াতে ইসলামের নামে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সঙ্গে নয়।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে যারা জবাই করেছে, তাদেরকেও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন শহীদ জিয়া। আওয়ামী লীগও রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ছিলেন তার আমলে। কারণ আওয়ামী লীগ নামে তো তখন কোনো দল ছিল না।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা মাঝে মাঝে বলে বিএনপি নাকি অবৈধ। তাহলে বিএনপি যদি অবৈধ হয়, আওয়ামী লীগও অবৈধ। কারণ তারা একই সময়ে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে। শহীদ জিয়া যদি ঐক্যের রাজনীতি করার সুযোগ না দিতেন তাহলে আজকে যারা এ ধরণের কথা বলে তাহলে কিন্তু তাদেরও রাজনীতি করার সুযোগ হতো না।
টিআই রিপোর্ট সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, টিআই রিপোর্টে বুঝা যায় দেশে দুর্নীতি আরও বেড়ে গেছে। গুম, খুন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে টিআই রিপোর্ট হয় না। হলে বাংলাদেশ এক নম্বরে থাকত।
সংগঠনের সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি ড. খলিলুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, নর্থ সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক এটিএম ড. নুরুল আমিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মনির খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।