পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এ এক অনন্য দিন। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপর পাকিস্তানের দমন নীতি অব্যাহত থাকা ও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তথা বাঙালিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা চলার প্রেক্ষাপটে বাঙালির অবিসম্বাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এদিনে রমনা রেসকোর্স ময়দানে জনসভা অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করেন।
দুপুরের আগে থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকা, এমনকি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিকামী জনতার ঢল নামে সভাস্থলে। সেই বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিব তার ১৯ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
তিনি বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ভাষণে তিনি ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগেই বাস্তবায়নের জন্য চার দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হল: এক. অবিলম্বে সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে। দুই. সামরিক বাহিনীকে সেনানিবাসে ফিরে যেতে হবে। তিন. নিহত ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা অনুসন্ধান করতে হবে ও চার. ২৫ মার্চে আহূত জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
এ ভাষণে তিনি সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। কিন্তু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন ও আগামীর দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তাঁর এ ভাষণের মাত্র আঠারো দিনের মাথায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নজিরবিহীন হিংস্রতা ও নির্মমতায় বাঙালি দমন অভিযান শুরু করে। শুরু হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ।
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সে দিনগুলোতে তার এ ভাষণ ছিল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতার প্রেরণার উৎস। পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে রেডিও-টিভিতে সেদিন তার সে ভাষণ প্রচার করতে দেয়া হয়নি। কিন্তু সংবাদপত্রগুলো যথাযথ গুরুত্বের সাথে সেই জনসভা বিষয়ে প্রতিবেদন ও তার ভাষণ প্রকাশ করে।
অন্যদিকে ঢাকা বেতারের কর্মীদের অব্যাহত দাবির প্রেক্ষিতে পরদিন সকালে রেকর্ড করা ভাষণ বেতার থেকেও সারাদেশে প্রচারিত হয়। তাঁর এই ভাষণ গোটা জাতিকে স্বাধীনতার আকাক্সক্ষায় উদ্বেল করে তোলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।