পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ভিন্নমত প্রকাশের বিষয়টি মারাত্মকভাবে আক্রমণের মুখে পড়েছে। গত বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন ছিল সেটি নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটির বাংলাদেশ অংশের ওপর আলাদাভাবে একটি বিজ্ঞপ্তি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে এইচআরডব্লিউ।
‘ইধহমষধফবংয: এড়াবৎহসবহঃ ঝযঁঃং উড়হি ঈৎরঃরপং’ শিরোনামেরও এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে একদিকে ধর্মনিরপক্ষে ব্লগার এবং বিদেশী নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে সরকার তার বিরোধী মতের লোকজনের কণ্ঠস্বর দমাতে সক্রিয় রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাটি অভিযোগ করছে, আদালত অবমাননার মামলা এবং বিভিন্ন ধরনের অস্পষ্ট মামলা দায়ের করার মাধ্যমে গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ক্রমেই ‘কর্তৃত্বপরায়ণ’ হয়ে উঠছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মন্তব্য করেছে।
সংস্থাটি বলছে নিরাপত্তা বাহিনীবিরোধী রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজ গত বছর কঠিন সময় পার করেছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়।
এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, “একজন সাংবাদিকের মতামত প্রকাশের অধিকার এবং ন্যায্য সমালোচনার পক্ষে দাঁড়াতে গিয়ে ৪৯ জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।” সংস্থাটি বলছে, সরকারের সমালোচনাকারী গণমাধ্যমগুলো হয়তো বন্ধ হয়ে গেছে নতুবা সাংবাদিক এবং সম্পাদকরা মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, বাংলাদেশের সংসদে কার্যত কোন বিরোধী দল নেই কারণ বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে সংসদের বাইরেও শেখ হাসিনার সরকার কোন বিরোধী কণ্ঠকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দিতে চায় না।
গত বছর বাংলাদেশে অন্তত পাঁচজন ব্লগার এবং একজন প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকজনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। এইচআরডব্লিউ বলছে যারা হুমকির মুখে ছিলেন তাদের জন্য সরকারের দিক থেকে হয়তো কোন নিরাপত্তা ছিল না নয়তো সেই নিরাপত্তা অপ্রতুল ছিল। জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপির অনেকে সদস্য গ্রেফতার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের আতংকে রয়েছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।