Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাংলালিংকের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় রাজস্ব বৃদ্ধি

প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় রাজস্ব আয়, ভয়েস কল ও ডেটা ব্যবহারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের। ডিজিটাল সেবার অগ্রযাত্রায় এই প্রান্তিকে মূলধনী ব্যয়ও ৪৪ শতাংশ বাড়িয়েছে কোম্পানিটি। গতকাল (সোমবার) রাজধানীর একটি হোটেলে ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলালিংক। প্রতিবেদন অনুযায়ি, ৩ কোটি ১৬ লাখ গ্রাহক নিয়ে বাংলালিংকের রাজস্ব ও ইবিটা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
বাংলালিংকের সিইও এবং এমডি এরিক অস্ বলেন, ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমাদের মোট রাজস্ব আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২২০ কোটি টাকা। যা গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ডাটা রাজস্বে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং ভয়েস রাজস্বে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে এই রাজস্ব অর্জন সম্ভব হয়েছে।
এসময় জানানো হয়, ডাটা ব্যবহার এবং ডাটা ব্যবহারকারীর বৃদ্ধির ফলে ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলালিংকের ডাটা রাজস্ব আয় বেড়েছে। বাংলালিংকের দেশব্যাপি থ্রিজি কাভারেজ বৃদ্ধি এবং একইসাথে দেশের টেলিকম শিল্পে স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে বাংলালিংকের ডাটা ব্যবসায় একটি বড় অগ্রগতি দেখা গিয়েছে। গ্রাহকদের বর্ধিত ব্যবহারের ফলে বাংলালিংকের ভয়েস রাজস্ব আয় বেড়েছে। আগ্রাসী মূল্য প্রতিযোগিতা সত্তে¡ও এই প্রান্তিকে বাংলালিংকের আরপু (এভারেজ রেভিনিউ পার ইউজার) ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ডাটা ব্যবহারের অব্যাহত বৃদ্ধির মাধ্যমেই এসেছে।
কঠোর বয়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পদ্ধতির কারণে গোটা টেলিকম শিল্পেই গ্রাহক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে এবং ২০১৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে বাংলালিংক-এর গ্রাহক সংখ্যার প্রবৃদ্ধি সামান্য হ্রাস পেয়েছে। তবে, মোবাইল নিরাপত্তার এই উদ্যোগে বাংলালিংক ১৫ মে পর্যন্ত ২ কোটি ৫ লাখ গ্রাহকের বয়োমেট্রিক রি-ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলালিংক বিশ্বাস করে যে, মোবাইল রি-ভেরিফিকেশন উদ্যোগের ফলে নিরাপদ গ্রাহকের যে ভিত্তি পাওয়া যাবে যেখান থেকে আমাদের ডিজিটাল নেতৃত্ব অর্জনের কৌশল অনুসরণ করে ই-কমার্স, কনটেন্ট ও পেমেন্ট সলিউশন থেকে নতুন রাজস্ব আয়ের উৎস সৃষ্টি করা যাবে।
এককালীন কিছু পারফরমেন্স ট্রান্সফরমেশন ব্যয় ছাড়া বাংলালিংক প্রথম প্রান্তিকে ৫৯০ কোটি টাকার ইবিটা অর্জন করেছে যা গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি নির্র্দেশ করে। এই বৃদ্ধি রাজস্ব বৃদ্ধির এবং একই সাথে ওপেক্স নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগ মূলত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। ফলাফল স্বরূপ এই প্রান্তিকে বাংলালিংকের ইবিটা মার্জিন ৪৮ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে বাংলালিংকের মূলধনী ব্যয় ছিল ১৩০ কোটি টাকা যা গত বছরের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি। প্রথম প্রান্তিকের শেষ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর থ্রিজি নেটওয়ার্ক দেশের মোট জন সংখ্যার ৩৪ শতাংশের কাছে পৌঁছেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলালিংক গ্রাহকদের ভবিষ্যতের ডিজিটাল দুনিয়ায় সংযুক্ত করতে চায় এবং গ্রাহকদের জন্য অসীম সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে চায়। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলালিংক ডিজিটাল যুগের গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে নিজেকে প্রস্তুত করছে। এরিক অস্ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ডিজিটাল সেবাদানই ভবিষ্যতের পথ। তিনি আরও বলেন, স্মার্টফোনের ব্যবহার দারুণ বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রাহকরা সত্যিকারভাবেই তাদের আঙুলের ডগায় তাদের ডিজিটাল জীবনকে পাবেন যাতে থাকবে বিনোদন থেকে ই-কমার্স, আর্থিক সেবা থেকে ব্যক্তিগত সেবা। আমাদের গ্রাহকদের জন্য এটি বাস্তব করতে বাংলালিংক-এ আমরা আমাদের সেবা ও পণ্যের পাশাপাশি থ্রিজি এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছি।
এরিক অস্ বলেন, বাংলালিংক-এর এই ডিজিটাল অগ্রযাত্রার মধ্যে কোম্পানির অগ্রগতি জানাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমি সত্যিকারভবেই বিশ্বাস করি যে, আমরা গ্রাহকদের ডিজিটাল সেবাদানকারী হিসেবে, শেয়াহোল্ডারদের কাছে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবং ২০২১ সালের মধ্যে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া স্বপ্ন বাস্তাবয়নে সহযোগি হিসেবে বাংলালিংককে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলালিংকের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় রাজস্ব বৃদ্ধি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ