পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোর্ট রিপোর্টার : বাংলাদেশের সরকার উৎখাতে ইসরায়েলের সঙ্গে ‘ষড়যন্ত্রে’ জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার অনুমাতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম শারাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসলামের ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুজ্জামান মিয়াকেও সাত দিন রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। এরআগে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রব্বানী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে দশ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। এসময় রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন আসামির আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে দুই আসামিকে সাতদিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি আসলাম চৌধুরী গত ৫ থেকে ৯ মার্চ বাংলাদেশের সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের কাজে ভারতে যান। ভারতে থাকার সময় বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কবহির্ভূত রাষ্ট্র ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আসামি বর্তমান নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করেন। এই নীলনকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের জন্য সন্ত্রাস, নাশকতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা দেশের অখ-তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং এর জন্য সহযোগিতা চান। আরো বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে লিপ্ত হয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শ নিয়ে তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামেন। ক্ষমতার পট-পরিবর্তনে বিশ্বাসী হয়ে ভবিষ্যৎ সুবিধা লাভের আশায় নাশকতামূলক অপরাধ, রাষ্ট্র, সরকার, সার্বভৌমত্ব ধ্বংস এবং সরকার উৎখাতের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেই আসামিকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে রমনা, ভাটারা, গুলশান, খিলক্ষেত ও বাড্ডা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এরআগে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছিল, সম্প্রতি ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নয়াদিলিতে একাধিক বৈঠক করেন আসলাম চৌধুরী। ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের সরকার উৎখাত করাই ছিল এসব বৈঠকের উদ্দেশ্য। গলায় ফুলের মালা পরা অবস্থায় সাফাদি ও আসলাম চৌধুরীর একত্রে ছবি প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। এ ছাড়া একটি রেস্তোরাঁর এক টেবিলে এই দু’জনের বসে কথা বলার ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। ছবিগুলোর উৎস মেন্দি এন সাফাদির ব্যক্তিগত ফেসবুক পাতা ‘মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপোমেসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস’।
পরে সরকারি দলের নেতারা অভিযোগ করেন, আসলাম চৌধুরী ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছেন। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক এজেন্টের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। গণমাধ্যমে এসব বৈঠকের ছবি ও খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা এটাকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপির সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।