পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নৌ পরিবহন অধিদপ্তরসহ নৌ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনেকেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চারটি বেসরকারি সংগঠন। গতকাল (সোমবার) এক যৌথ বিবৃতিতে পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ-বিষয়ক সংগঠন চারটি বলেছে, একেক জন কর্মকর্তার জন্য কতটি করে পদ ও দায়িত্ব রয়েছে জাতীয় স্বার্থে দেশবাসী তা জানতে চায়। নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের (এনএমআই) দু’জন কর্মকর্তার অস্বাভাবিক দায়িত্ব পালন নিয়েও জোরালো প্রশ্ন তুলেছেন এসব সংগঠনের নেতারা।
বিবৃতিদাতা সংগঠনগুলো হচ্ছেÑসিটিজেন্স রাইট্স মুভমেন্টের, বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইট্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্ট (মেড) এবং নদী রক্ষা শপথ (নরশ)।
বিবৃতিতে বলা হয়, একাধিক কর্মকর্তা ‘চার্টার অব ডিউটিজ’ (নির্ধারিত দায়িত্ব) বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত পদের অতিরিক্ত ৩-৪টি দায়িত্ব পালনের নজিরও রয়েছে।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তর : বিবৃতিতে বলা হয়, পিএসসির মাধ্যমে পাঁচ বছর আগে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের এক্সামিনার (পরীক্ষক) হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হক। তবে তিনি কর্মস্থলে যোগদানের পরপরই অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তে ‘ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার’-এর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এছাড়া ‘চার্টার অব ডিউটিজ’Ñতার এ অভ্যন্তরীণ জাহাজের ড্রাইভারদের পরীক্ষা নেওয়ার বিধান না থাকলেও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে তাকে অভ্যন্তরীণ জাহাজের পরীক্ষা কমিটিতে রাখা হয়েছে।
এই কর্মকর্তাকে ২০১৪ সালে গ্লোবাল মেরিন ডিস্ট্রেস্ড অ্যান্ড সেফটি সিস্টেমের (জিএমডিএসএস) প্রকল্প পরিচালক নিযুক্ত করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে গৃহীত প্রায় ৪০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মূল কাজ এখনো শুরু করতে পারেননি নাজমুল হক।
এনএমআই প্রিন্সিপাল চার পদে : বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের (এনএমআই) প্রিন্সিপাল ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজিম চারটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এর তিনটিই তার নির্ধারিত (নিয়োগপ্রাপ্ত পদ) দায়িত্বের অতিরিক্ত।
এই কর্মকর্তা চট্টগ্রাম শিপিং অফিসের প্রধান তথা ‘শিপিং মাস্টার’, নৌ বাণিজ্য দপ্তরের খ-কালীন ‘ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার’ এবং ফরিদপুরে নাবিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান তিনি। অথচ তার মূল পদ এনএমআই’র প্রিন্সিপাল। বিবৃতিতে বলা হয়, একজন সরকারি কর্মকর্তা একসঙ্গে চারটি আলাদা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন; যার তিনটিতেই তিনি শীর্ষ পদে। এভাবে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিবৃতিদাতারা।
এছাড়া ‘শিপিং মাস্টার’ এনএমআই প্রিন্সিপালের একধাপ নিচের পদ। তাই আজিম কেনো ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একধাপ নিচের পদে যোগ দিলেন তা নিয়েও জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। তাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে শিপিং মাস্টার ও নৌ বাণিজ্য দপ্তরের সার্ভেয়ারের দায়িত্ব থেকে তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।