পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদ- কার্যকরের প্রতিবাদ না করায় ইউরোপীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। গত রোববার ইস্তাম্বুলে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি পশ্চিমা নেতাদের বিরুদ্ধে ‘দ্বিমুখী’ আচরণের অভিযোগ এনেছেন বলে খবর দিয়েছে আরব নিউজ। এরদোগান বলেন, “আপনারা যদি সত্যিই রাজনৈতিক হত্যার বিরোধী হয়ে থাকেন, তাহলে কয়েক দিন আগে মতিউর রহমান নিজামীর যখন মৃত্যুদ- কার্যকর করা হল তখন টু শব্দটি করলেন না কেন?” নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিজামীর মৃত্যুদ- কার্যকরের খবরে ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করে সেই বিবৃতিতে বলা হয়, তার ‘এ ধরনের শাস্তিপ্রাপ্য ছিল বলে’ তুরস্ক মনে করে না।
মৃত্যুদ- কার্যকরের প্রতিবাদে তুরস্কে বিক্ষোভ হয়। মৃত্যুদ- কার্যকর পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনার কথা বলে ঢাকা থেকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওসতুর্ককে আঙ্কারায় ফিরিয়ে নেয়া হয়।
রোববারের ভাষণে এরদোগান বলেন, “আপনারা ইউরোপ থেকে কোনো প্রতিবাদ শুনেছেন?... না। এটা কি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নয়?
২০০২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এরদোগানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি মুসলিম বিশ্বে তুরস্কের প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে এর বিরোধিতা করেছে তারা। নিজামীর মৃত্যুদ- কার্যকরের পর আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকারেরও সমালোচনা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
সেদিন তিনি বলেন, “সত্তরোর্ধ্ব একজন মুজাহিদ, পার্থিব পাপ যাকে স্পর্শ করেনি বলে আমাদের বিশ্বাস, তাকে মৃত্যুদ- দেয়ার এই মানসিকতার কঠোর নিন্দা জানাই আমি।
“আমি মনে করি, মৃত্যুদ- বন্ধের জন্য বার বার অনুরোধ করার পরও তার মৃত্যুদ- কার্যকরের আদেশ দেয়ার বিষয়টি সুশাসন বা গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচায়ক ছিল না।”
অবশ্য তুরস্ক তাদের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকা থেকে ডেকে পাঠানোর পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছিলেন, “বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় এ সম্পর্কে ব্যত্যয় ঘটাতে পারবে না।”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তুরস্কের বিরোধিতার বিষয়ে তিনি বলেন, “এ বিচারের বিষয়ে এর আগেও তুরস্ক কিছু প্রশ্ন তুলেছিল। আমরা তাদের যথাযথ জবাব দিয়েছি।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।