পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী সুকৌশলে নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদী ঈমানবিধ্বংসী সিলেবাস প্রণয়ন করে আমাদের সন্তানদের ঈমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। অবিলম্বে বিতর্কিত সিলেবাস এবং শিক্ষা আইন ও শিক্ষানীতি বাতিল না করলে আমাদের ঈমান রক্ষায় যে ধরনের কর্মসূচির প্রয়োজন তা-ই গ্রহণ করতে বাধ্য হবো। তিনি বলেন, বিতর্কিত শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে বাংলাদেশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জন্যে প্রণীত নতুন সর্বনাশা সিলেবাস প্রমাণ করে, এ শিক্ষানীতির মতলব জঘন্য। এটা বাংলাদেশ ধ্বংসের শিক্ষানীতি। দেশের মুসলমান ও ইসলাম শূন্য করার রণকৌশল। ভারতের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা স্থাপন করার পর সরকারের মদদে কতিপয় হিন্দু ও নাস্তিক সিলেবাসে পরিবর্তন এনে মুসলমানের ঈমানে আঘাত করেছে।
গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদানপূর্ব বিশাল জমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, বীল মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, সৈয়দ ওমর ফারুক, মুফতী ফরিদুল আলম প্রমুখ।
সমাবেশশেষে একটি বিরাট মিছিল তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে কদম ফোয়ারা পৌঁছলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। পরে প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আলমাদানীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার মু. আব্দুর রাজ্জাক স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন,নগরনেতা আলতাফ হোসেন, ছাত্রনেতা মাহবুব আলম।
অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও বিতর্কিত সিলেবাসের মাধ্যমে আমাদের ঈমান নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। কোন মানুষ এমতাবস্থায় নিরব বসে থাকতে পারে না। তিনি বলেন, শিক্ষার সকলস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ধর্মীয় পটভূমিকে স্মরণে রেখে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। তিনি পাঠ্যপুস্তকে ইসলামি ভাবধারার মুসলিম লেখকদের প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও গল্প-কবিতা সংযোজনের দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।