পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়া বলেছেন, শরীরটা ভালো যাচ্ছে না; ভালো নেই। দিন দিন শরীর খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। শরীর কাপে, পা নাড়াতে পারেন না। আদালতে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে সমস্যা হয়। এসময় খালেদা জিয়া তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে সহযোগীতাও কামনা। গতকাল রোববার নাইকো মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য তাকে কারাগার থেকে হুইল চেয়ারে কারা আদালতে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। আদালতে প্রবেশের পর দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল তাকে সালাম দেন। এ সময় খালেদা জিয়াকে জিজ্ঞাসা করেন ম্যাডাম কেমন আছেন। জবাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এসব কথা বলেন। এসময় খালেদা জিয়া আরো বলেন, গত ধার্য তারিখে তিনি তৈরি হয়ে বসেছিলেন। কারাকর্তৃপক্ষই তাকে আদালতে আনেননি। উল্টো অপপ্রচার করেছেন ঘুমে ছিলেন। এটা কেমন কথা হলো।
গতকাল নাইকো মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ছিল। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে খালেদা জিয়াকে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে বেলা ১টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুনানির জন্য হুইল চেয়ারে খালেদা জিয়াকে আদালতে আনা হলে দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল উঠে গিয়ে খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চান, তাঁর শরীর কেমন। খালেদা জিয়া কাজলের উদ্দেশে বলেন, না, আমার শরীর ভালো যাচ্ছে না। শরীর খুব খারাপ। তিনি বলেন, গত ধার্য তারিখে তিনি তৈরি হয়ে বসেছিলেন। কারাকর্তৃপক্ষই তাকে আদালতে আনেননি। উল্টো অপপ্রচার করেছেন ঘুমে ছিলেন। এটা কেমন কথা হলো।
এরপর খালেদা জিয়া উপস্থিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। খালেদা জিয়ার কাছে ফখরুল জানতে চান, থেরাপি ঠিকমতো দেয়া হচ্ছে কি না। খালেদা জানান কারাগারে তাঁকে দেখতে চিকিৎসক এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর শরীর ভালো যাচ্ছে না। এরপর বিচারক এজলাসে ওঠেন। এ সময় মামলার আসামি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলামের পক্ষে তার আইনজীবী আসাদুজ্জামান অভিযোগের শুনানি করেন। তারপর সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি করেন। তারা দুজন শুনানি শেষে বলেন, মামলাটি চলতে পারে না।
এরপর মামলার আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ আইনি পয়েন্টে তিনটি যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, মামলায় আমার বিষয়ে কোনো কিছু নেই। নেই কোনো দলিল, সাক্ষী বা কোনো কাগজ। আমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকাকালে শুধু মতামত দিয়েছি, যা সব সরকারের আমলে দেয়া হয়। খালেদা জিয়াও নিয়ম অনুযায়ী স্বাক্ষর দিয়েছেন। আগের প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি সচিবও এ কাজ করেছেন, যা চার্জশিট দেখে প্রতীয়মান হয়। খালেদা জিয়াসহ সব আসামির অব্যাহতি চাচ্ছি।
মওদুদের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, আপনাদের অন্য দরখাস্তের বিষয়ে বলেন। তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার বিষয়ে একটি আবেদন করেছি। আদালত এ বিষয় কোনো আদেশ এখনো দেননি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম খালেদা জিয়াকে দেখেন। তারপর দিন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার প্রয়োজন মর্মে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্যাটকো মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য কারাগার থেকে আলিয়া মাদরাসা মাঠ আদালতে গাড়িতে খালেদা জিয়াকে নেয়া হয়। গাড়ি থেকে নামার সময় খালেদা জিয়া পড়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ধরেন। এরপর হুইল চেয়ারে করে আদালতে নেয়া হয় তাকে। তাই সব মিলে খালেদার চিকিৎসা প্রয়োজন। আগে চিকিৎসা পরে বিচার। তিনি আরও বলেন, মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কাগজ পাইনি। প্রয়োজনীয় কাগজ পেলে শুনানি করতে পারবো। খালেদা জিয়ার আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বিচারক বলেন, চিকিৎসার বিষয় তো উচ্চ আদালত একটি আদেশ দিয়ে দিয়েছেন। নিম্ন আদালত এ বিষয় কী করতে পারে? এরপর বিচারক দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলকে বলেন, এ বিষয় আপনি কিছু বলেন। তখন কাজল বলেন, চিকিৎসার বিষয়টি জেল কোড আনুযায়ী হতে পারে। এ ছাড়া খালেদার পক্ষে আজ শুনানি, আজ শুনানি শুরু করলে ভালো হতো। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়া আদালতে প্রবেশের পরপরই আদালতে আসা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর পাশে বসেন এবং আদালতের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছিলেন। ওই সময় তিনি চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তবে ওই সময়ের মধ্যে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিষ্টার ফারহানা রুমিন ও জিয়াউদ্দিন জিয়ার সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায়। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।