পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : এবার ভিসা ব্যতীত বিদেশ ভ্রমণে বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা নেয়ার সুযোগ করে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে পোর্ট এন্ট্রি পদ্ধতিতে বিদেশে গমনেচ্ছুরা তাদের বার্ষিক ভ্রমণ কোটার সমপরিমাণ অব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারবেন। তবে ভ্রমণেচ্ছু ব্যক্তির পাসপোর্টের মেয়াদ ন্যূনতম ছয় মাস থাকতে হবে। এই সুবিধা সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিদের দাপ্তরিক প্রয়োজনে বিদেশ সফরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময় লেনদেন নীতিমালা অনুযায়ী, ভিসা ব্যতীত বিদেশ ভ্রমণেচ্ছুদের অনুকূলে সর্বোচ্চ ২০০ ডলার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়করণের কথা বলা আছে। অথচ সাধারণ ভ্রমণ কোটায় বর্তমানে (ভিসা বাধ্যতামূলক) বিদেশ গমেনেচ্ছুরা বার্ষিক ১২ হাজার ডলারের সপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নেয়ার সুযোগ পান। তবে সার্কুভুক্ত দেশগুলো ও মায়ানমারের ক্ষেত্রে এই সীমা বার্ষিক ৭ হাজার ডলার। ফলে পোর্ট এন্ট্রি বা সম্মানী পদ্ধতিতে ভিসাপ্রাপ্তরা বিদেশ ভ্রমণে বৈদেশিক মুদ্রা নেয়ার ক্ষেত্রে বৈসম্যের শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, আগে পোর্ট এন্ট্রি ভিসা পাওয়া ততটা সুনিশ্চিত ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোর্ট এট্রি পদ্ধতিতে ভিসা প্রদান করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বর্তমানে ১৪টি দেশে পোর্ট এট্রি পদ্ধতিতে ভিসা প্রদান সুবিধা চালু রয়েছে। তবে উইকিপিডিয়ার হিসেবে এ সংখ্যা আরও বেশি। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ পোর্ট এন্ট্রি পদ্ধতিতে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ বৃদ্ধি করায় ভুক্তভোগীরা এ পদ্ধতিতে বিদেশ ভ্রমণের বৈদেশিক মুদ্রার কোটা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন।
সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমানে কিছু কিছু দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পোর্ট এন্ট্রি ভিত্তিতে ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। এখন থেকে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক পোর্ট এন্ট্রি ভিত্তিতে ভিসা প্রদানকারী দেশগুলোতে ভ্রমণেচ্ছু নিবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের অনুকূলে ভিসা ছাড়াই অন্যান্য নির্দেশনা পরিপালন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য প্রযোজ্য অব্যবহৃত বার্ষিক ভ্রমণ কোটার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট দেশের ভ্রমণের ক্ষেত্রে পোর্ট এন্ট্রি পদ্ধতিতে ভিসা প্রদেয় হওয়ার বিষয়টি অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক গ্রাহক কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্রমণেচ্ছু ব্যক্তির পাসপোর্টের মেয়াদ ন্যূনতম ছয় মাস থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, ভিসা ব্যতীত পোর্ট এন্ট্রি পদ্ধতিতে ইস্যুকৃত বৈদেশিক মুদ্রা যথাযথভাবে ব্যবহারের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরবর্তী বিদেশ যাত্রার প্রাক্কালে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়করণের পূর্বে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক নিশ্চিত হবে। এছাড়া বার্ষিক ভ্রমণ কোটার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুর পূর্বে সংশ্লিষ্ট যাত্রার অনুকূলে চলতি পঞ্জিকা বর্ষে ইতোমধ্যে কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যু হয়েছে তাও ডিলার ব্যাংক যাচাই করবে। পাশাপাশি অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক বার্ষিক ভ্রমণ কোটার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুকৃত হওয়ার বিষয়টি পাসপোর্ট এন্ডোর্স করার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইনে যথাযথভাবে রিপোর্ট করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।