Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নাটোরে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ

প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা
নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের আসন্ন ইউপি নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মামাশ্বশুর নবীর উদ্দিন ও তার ছেলেসহ নেতা-কর্মীদের সোমবার বিকেলে প্রকাশ্যে মারধর করেছে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান সমর্থকরা। এসময় হামলাকারীরা নবীর উদ্দিনের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয় এবং ভাঙা ও পুড়ে যাওয়া চেয়ার-টেবিলের অংশবিশেষ পাশের গুড় নদীতে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা জানায়, সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের আসন্ন ইউপি নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মামাশ্বশুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নবীর উদ্দিন এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হন। সোমবার বিকেলে তার ছেলে সজিব আহম্মেদসহ নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি তার প্রতীক আনারস মার্কার পক্ষে প্রচারণায় বের হলে কলম বাজারে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হন। বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মঈনুল হক চুনুর কর্মী-সমর্থকরা প্রকাশ্যে তাদের ধাওয়া করে। এসময় তারা তাদের নির্বাচনী অফিসে আশ্রয় নিলে সেখানেই তাদের মারধর করে হামলাকারীরা। ঘটনার সময় নবীর উদ্দিনের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয় তারা। পরে ভাঙা ও পুড়ে যাওয়া চেয়ার-টেবিলের অংশবিশেষ পাশের গুড় নদীতে ফেলে দেয়।
এদিকে জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউপি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণাকালে প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় প্রার্থীসহ চারজন আহত হয়েছেন। এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা বাজারে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, সোমবার সকালে আজিজুর রহমান ১০-১২ জন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে দ্বারিকুশী ডাঙ্গাপাড়ায় গণসংযোগে বের হন। এসময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদের প্রচারণা চালাতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বিতর্ক বাধে। একপর্যায়ে বাধাদানকারী যুবকেরা লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করলে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান জনাব (৫৫), তার সমর্থক মাসুদ রানা (৩০), সাবান মোল্লা (৩২) ও নাজমুল হক (৩০) আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করে। বিএনপির আহত প্রার্থী এ ঘটনার জন্য স্থানীয় সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাটোরে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ