পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্থাপনা নির্মাণের সময় কৃষিজমি ও খালবিল যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশে শিল্পায়ন যেন দ্রুত হয় সেজন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে। এসব প্রকল্প গড়ে তোলার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, কৃষি জমি যাতে নষ্ট না হয়। খাল বিলের যেন ক্ষতি না হয়। নদী ও খালবিল গুলো বাঁচাতে হবে। এতে পরিবেশ সুন্দর থাকে। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৯তম কনভেনশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৌশলীরা আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলেই আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারছি। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও গবেষণা বাড়ানো দরকার। উৎপাদনের কৌশল উদ্ভাবন করা দরকার। প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কৃষিকে আধুনিকীকরণ করতে চাই, যান্ত্রিকীকরণ করতে চাই। শিক্ষিত লোকজন যাতে কর্মবিমুখ না হয়, তারা যেন প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারেন। এ জন্য গবেষণাও দরকার। কোন কোন ক্ষেত্রে গবেষণা দরকার, সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিই। গবেষণার মাধ্যমে আমাদের দেশের মাটি মানুষের উপযোগী করে নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে হবে। এভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
নদী নালা খাল বিল রক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের খাল বিল ও নদী নালা রক্ষা করা দরকার। রাস্তা বা কোনও স্থাপনা নির্মাণের সময় এটি খেয়াল রাখতে হবে। ঢাকা শহরে খাল-পুকুর এখন পাওয়া যায় না। আগুন লাগলে পানি পাওয়া যায় না। জেল খানার পুকুর থেকে পানি সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে চকবাজারের অগ্নিকান্ডে। খাল বিল সংরক্ষণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাইওয়ে করার সময় দেখতে হবে, যেন পাশে নদী নালা খাল বিল থাকে। আমাদের প্রাকৃতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিতে হবে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থান চিন্তা করে স্বল্পখরচে উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান।
বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পর স্বাধীন দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতির জনকের দেখানো পথ অনুসরণ করছি। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন সারাবিশ্বে দৃশ্যমান। অনেকে বিস্মিত হয়ে বলেন, এতো অল্প সময়ে কিভাবে দেশকে এতো উন্নত করতে পারলাম! সেজন্য আমি বলি। জনগণ ও দেশের প্রতি আমাদের একটা রাজনৈতিক কমিটমেন্ট থাকতে হবে। দেশের মানুষের প্রতি আস্থা, ভালোবাসা, তাদের জীবনমান উন্নত করার যে ওয়াদা করেছি আমরা, সেটা রক্ষা করার চিন্তা থাকতে হবে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি সেক্টরকে উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন বলেই আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারছি। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও গবেষণা বাড়ানো দরকার। উৎপাদনের কৌশল উদ্ভাবন করা দরকার। স্বল্পখরচে দেশের উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণে এ কনভেনশন ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা প্রথম ক্ষমতায় এসে দেখে আগের সরকারগুলোর সময় বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়ন এবং গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হতো না। যে কারণে দেশ পিছিয়ে ছিল। আমরা দেশের উন্নয়নে প্রতি বছর বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখছি। যে কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, নতুন নতুন গবেষণার ফলে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ধান, শাক-সবজি চাষ হচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়েও আমরা বাইরে রফতানি করতে পারছি। এ কারণে ভবিষ্যতে আমরা কৃষিজাত শিল্পের দিকে গুরুত্ব দিতে চাই। কারণ পৃথিবী যতদিন থাকবে খাদ্যেরও ততদিন প্রয়োজন আছে। খাদ্যের চাহিদা কোনো দিন ফুরাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।