পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শফিউল আলম ও রফিকুল ইসলাম সেলিম : বন্দর নগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে বর্তমান সরকারের সময়ে গৃহীত ও চলমান মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের কাজ গতিশীল হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সমন্বিত উন্নয়নের পথে দ্রুতই এগিয়ে চলেছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীসহ সমগ্র চট্টগ্রাম অঞ্চল। এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামের উন্নয়নের চেহারা পাল্টে যাবে। সেইসাথে বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে সমুদ্রবন্দর, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, পর্যটন এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে। এমনটি প্রত্যাশা চট্টগ্রামবাসীর। চলমান প্রকল্পের মধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট নিরসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের সুরাহা হলে চট্টগ্রামে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচিত হবে। দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর, বাণিজ্যিক নগরী ও শিল্পাঞ্চলের অবস্থানের আলোকে গুরুত্ব দিয়েই চট্টগ্রামে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলমান প্রকল্পবহরের মধ্যে চট্টগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকাকারে টার্গেট রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রামের উন্নয়নে চলমান মেগা প্রকল্পসমূহ প্রসঙ্গে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও বাংলাদেশ চেম্বার ফেডারেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বলেছেন, বন্দর নগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকার ব্যাপকভিত্তিক প্রকল্পবহর বাস্তবায়ন শুরু করেছে। চট্টগ্রামে গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা দীর্ঘদিনের। সরকারের চলমান মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট ঘুচবে এবং চট্টগ্রামে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা দূরীভূত হবে। তাছাড়া অর্থনৈতিক জোনসমূহ (ইজেড) বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামে শিল্প-কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে স্থান সংকট নিরসন হবে। এর ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চলকে ঘিরে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের উজ্জ্বল সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে। অদূর ভবিষ্যতে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ার পথে এগিয়ে যাবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের উন্নয়নের পথ ধরে সমগ্র বাংলাদেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হবে।
চট্টগ্রামের ব্যাপক অবকাঠামা উন্নয়ন-সৃজনে চলমান ও গৃহীত উল্লেখযোগ্য মেগা প্রকল্প হচ্ছেÑচট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের পরিপূরক বৃহৎ অবকাঠামো বে-টার্মিনাল, চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং-রোড, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল ও সমুদ্রবন্দর, দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেললাইন, কর্ণফুলী টানেল, লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ ফ্লাইওভার এবং অর্থনৈতিক জোনসমূহ (ইজেড)।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিপূরক ‘বে-টার্মিনাল’
বিদ্যমান চট্টগ্রাম বন্দরের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগর উপকূলের পতেঙ্গা-হালিশহর মোহনায় বড় আকারের (মাদার) জাহাজ চলাচল ও ভেড়ার উপযোগী ১৪/১৫ মিটার গভীরতা (চ্যানেলের ড্রাফট) রয়েছে। গভীর সমুদ্র বন্দরের আদলে এই প্রাকৃতিক সুবিধাকে বন্দর শিপিং বিশেষজ্ঞরা মহান আল্লাহতায়ালার অপার দান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেখানেই গড়ে উঠবে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিপূরক উন্নত অবকাঠামো ‘বে-টার্মিনাল’ প্রকল্প অর্থাৎ নতুন এক সমুদ্র বন্দর। দীর্ঘ জটিলতার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পিত বে-টার্মিনাল প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে চিহ্নিত ভূমির অধিগ্রহণের জন্য বন্দরকে অনাপত্তি (এনওসি) বা ছাড়পত্র প্রদান করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এর ফলে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর আকার-আয়তন-গভীরতায় আরও বড় হতে যাচ্ছে।
বিদ্যমান বন্দর সম্প্রসারণের জন্য বে-টার্মিনাল স্থাপনের তাগিদ দিয়ে আসছেন আমদানি-রফতানিকারক, ব্যবসায়ী, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শিপিং মহল দীর্ঘদিন ধরেই। বে-টার্মিনালের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর আঞ্চলিক ‘হাব পোর্ট’ হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অধিকতর গুরুত্ব অর্জনে সক্ষম হবে। তবে বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্র বন্দরের বিকল্প নয়।
পতেঙ্গা-হালিশহর সমুদ্র উপকূলভাগে মোট ৯০৭ একর তীরভূমির উপর বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে বে-টার্মিনালের ভৌত ও কারিগরি অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। পতেঙ্গা-হালিশহরের কাছে চিহ্নিত এলাকাটির সবচেয়ে বড় সুবিধাজনক দিক হচ্ছে সেখানে জোয়ার-ভাটায় সবসময়ই জাহাজ চলাচল, ভিড়ানো ও ঘোরানো সম্ভব হবে। বে-টার্মিনালের দৈর্ঘ্য হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৬০০ মিটার। সাগর থেকে গত আড়াই-তিন দশকে ক্রমান্বয়ে জেগে ওঠা চরের জমিতে বে-টার্মিনাল অবকাঠামো গড়ে তুলবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সমুদ্র তীর থেকে প্রায় ৮০০ মিটার দূরে জেগে ওঠা চরটি নতুন একটি নেভিগেশনাল চ্যানেল সৃজন করেছে। চরের কাছে পানির গভীরতা ৭ থেকে ১০ মিটার। চরের পশ্চিম পাশে (সমুদ্রমুখী) খাদে সাগরের গভীরতা ১৩ থেকে ১৫ মিটার। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই চরকে ঘিরে সৃষ্ট খাদের চ্যানেলে বে-টার্মিনাল নির্মাণের দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে চায়। ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে চ্যানেলটিতে অনায়াসে বড় আকারের কন্টেইনার ও সাধারণ খোলা (ব্রেক বাল্ক) পণ্যবাহী জাহাজবহর ভিড়তে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে জাহাজের আসা-যাওয়া ও পণ্য খালাস কার্যক্রম পুরোপুরি জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভরশীল। বন্দরে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫০ মিটার পর্যন্ত ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব। তাছাড়া বন্দরের মূল কর্ণফুলী চ্যানেলে একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক বা ব্যান্ড রয়েছে। চ্যানেলের চওড়া প্রায় ২৫০ মিটার। বন্দরে সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার পর্যন্ত লম্বা জাহাজ ভিড়তে পারে। যা দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে রেখেছে।
বন্দর সূত্র জানায়, আগামী ৫ বছরে বে-টার্মিনালের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এর আগে প্রাথমিকভাবে দু’টি ডলফিন জেটি নির্মাণ করে কয়লা এবং সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল ক্লিংকার খালাস কাজ শুরু করা হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৮ শতাংশ হারে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধান এ বন্দরে বছরে বার্ষিক ২০ লাখ টিইইউএস’রও বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে। ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহন বাণিজ্য ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৮৫ ভাগ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে প্রতিদিন গড়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। বর্তমানে বন্দরে দৈনিক সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭শ’ কন্টেইনার বোঝাই জাহাজ হ্যান্ডলিং করা সম্ভব। তাছাড়া খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, কয়লা, চিনি, সারসহ খোলা পণ্যবাহী বড় জাহাজগুলোকে (মাদার ভেসেল) চট্টগ্রাম বহির্নোঙ্গরে অবস্থান করে সেখানে লাইটারেজ জাহাজে মালামাল লাইটারিং খালাস করতে হয়। এতে করে বন্দর-ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে আগামী ৪০/৫০ বছর চট্টগ্রাম বন্দর পরিপূর্ণ সক্ষমতা বজায় রাখতে সমর্থ হবে।
মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল ও বন্দর
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী দ্বীপের মাতারবাড়িতে ৬শ’ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৪টি (২৪শ’ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল এবং গভীর সমুদ্রবন্দর (ডিপ সী-পোর্ট)Ñএই ৩টি উন্নয়ন মেগা প্রকল্পের সমন্বয়ে জাপানের তরফ থেকে সরকারের কাছে বিনিয়োগ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল সমেত একটি সমুদ্রবন্দর নির্মাণে জাপানের অর্থায়নের প্রস্তাবে ইতোমধ্যেই সায় দিয়েছে বাংলাদেশ। জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) মাতারবাড়িতে ৪টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল ও বন্দর স্থাপনা নির্মাণের জন্য ৮০ শতাংশ অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছে। এক্ষেত্রে সুদের হারও কম রাখার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। সমন্বিত এ প্রকল্পে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকা। এ যাবৎ প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ এগিয়ে গেছে।
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনালসহ বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা এমনভাবে সাজানো হচ্ছে যাতে এই তিনটি কারিগরি প্রকল্পকে সমন্বিতভাবে গড়ে তোলা ও ব্যবহার করা যায়। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়ে জাপানের সুমিতোমো ও মারুবেনি কর্পোরেশন প্রকল্প প্রস্তাব সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাক-যোগ্যতা দরপত্রে (প্রি-কোয়ালিফিকেশন) উক্ত দু’টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশের সঙ্গে জাইকার একটি ঋণ চুক্তি হয়েছে। মাতারবাড়ি ৪টি ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল ও গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পে শূণ্য দশমিক ১ শতাংশ সুদে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের ব্যাপারে সরকারের কাছে আগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছে জাইকা।
জাপানের আর্থিক সহায়তায় মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ২৪শ’ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিদ্যুৎ মহাপ্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল, সমুদ্রবন্দর অবকাঠামো বাস্তবায়ন কাজ এ বছরেই শুরু হতে পারে। এর পাশাপাশি মহেশখালীর মাতারবাড়ি, ধলঘাট, সোনাদিয়াসহ কক্সবাজার শহর পর্যন্ত ভারী শিল্প এলাকা, উপশহর (টাউনশিপ), এলএনজি টার্মিনাল, মহেশখালী চ্যানেলে ঝুলন্ত সেতু, পর্যটন কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর এবং এসব ঘিরে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা হবে। মহেশখালীর মাতারবাড়িতে প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎপ্রকল্পটি হবে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ও সর্বোচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন। বিদ্যুৎ প্রকল্পটি অত্যধিক জ্বালানি সাশ্রয়ী (আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল) প্রযুুক্তিতে নির্মিত হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তাপীয় দক্ষতা (থার্মাল এফিসিয়েন্সি) হবে প্রায় সাড়ে ৪১ শতাংশ। এ মহাপ্রকল্প কয়লাভিত্তিক হলেও যাবতীয় বর্জ্য নির্গমনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি অনুসরণ করা হবে। এরফলে এটি হবে সত্যিকার অর্থেই পরিবেশ-প্রতিবেশ বিশেষ করে কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার জীববৈচিত্র্য-বান্ধব। তিন ধাপে এ মহাপ্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৩ সালে। প্রথম ধাপে ৬০০ মেগাওয়াট ইউনিট স্থাপনের কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
গভীর সমুদ্রবন্দর তথা স্বপ্নের মহাবন্দর স্থাপনের মহাপরিকল্পনা পুরোদমে চূড়ান্ত হওয়ার আগে এ নিয়ে চলছে নতুন করে পর্যালোচনা। ডিপ সি-পোর্ট বা গভীর সমুদ্র বন্দরের স্থান বাছাই করা হচ্ছে মাতারবাড়িতে। সোনাদিয়ার তুলনায় মাতারবাড়ি সুবিধাজনক জায়গা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপে ১১ বছরে আর চূড়ান্ত ধাপে ৪৬ বছরে পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো সুবিধা দাঁড় করে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য ব্যয় দাঁড়াবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। আগামীতে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ বিশেষ করে ব্যাপকাকারে আমদানি-রফতানি প্রবাহ সামাল দেয়ার জন্য গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনকে অপরিহার্য অবকাঠামো হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।