Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সিটি নির্বাচন তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়

সাংবাদিকদের ড.মোশাররফ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকর মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জাতীয় ভোটার দিবস পালনের নামে ভোটাধিকারহরনকারী সরকার জনগনের সাথে তামাশা করছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখানের মধ্য দিয়ে জনগণ এই অবৈধ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। গতকাল শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
ড. মোশাররফ বলেন, জনগন আশ্চর্যান্বিত যে, পরপর দুইটি অবিস্মরনীয় ঘটনা ঘটেছে। একটি গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে সরকার আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। অন্যটি ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র উপ-নির্বাচন। যেখানে জনগন ভোট প্রত্যাখান করে সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। এ অবস্থায় সরকার ভোটার দিবস পালন করছে। এটা জনগণের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি বলেন, ভাটার যেখানে ভোট দিতে পারে না সেখানে ভোটার দিবসের স্লোগান হচ্ছে- ভোটার হোন, ভোট দিন। এটা অত্যন্ত হাস্যপ্রদ। এই সরকারই জনগনের ভোটের অধিকার হরণ করে এই দিবস পালন করে আজকে এটাকে একটা হাস্যপ্রদ বিষয় করেছে, একটা তামাশা সৃষ্টি করেছে।
‘ভোটার হব, ভোট দেব’ শীর্ষক শ্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল ১ মার্চ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়। রাজধানীসহ সারা দেশে দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন দেখলাম। সেখানে ভোটাররা কেন্দ্রে যায়নি, কেউ ভোট দিতে দেখেনি। আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, যারা এই ভোট নেয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তারাও আশ্চর্যান্বিত হয়েছেন কেনো ভোটার নেই। সারাদিন তারা ভোটারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছেন। অর্থাৎ জনগণ এই ভোট প্রত্যাখান করেছে। তারা নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরনে দলের করণীয় কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, যারা গনতন্ত্র হত্যা করেছে, ভোটের অধিকার হরণ করেছে তারা কখনো বাংলাদেশে জনগনকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে না। আমরা বলতে চাই, আজকে বিএনপির সামনেই আজকে বিরাট চ্যালেঞ্জ, বিরাট সুযোগ। এই আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে না। বিএনপিকেই এদেশের মানুষের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং ভোটের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা আশা করি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন পুনরায় পুনর্গঠিত হচ্ছে, পূনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে পূনর্গঠনের মাধ্যমে আমরা দলকে শক্তিশালী করে ঘুরে দাঁড়াবো এবং গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। এটাই আজকে আমাদের শপথ।
গতকাল সকাল ১১টায় জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন ড. খন্দকার মোশাররফ। এ সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ মৎস্যজীবী দলের নাদিম চৌধুরী, সেলিম মিয়া, জাকির হোসনে খানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দলের কমিটি ভেঙে দিয়ে রফিকুল ইসলাম মাহতাবের নেতৃত্বে ১৫৪ সদস্যের নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করে দেয় বিএনপি। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড.মোশাররফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ