পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একটি তৈরি ফ্রান্সে আরেকটি যুক্তরাষ্ট্রের। ফ্রান্সের তৈরি মাল্টিরোল সিঙ্গেল ইঞ্জিন চতুর্থ প্রজন্মের জেট মিরেজ-২০০০। এটি ভারতীয় বিমানবাহিনীতে সংযোজন হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সিঙ্গেল সুপারসনিক এফ-১৬ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের বিমানবাহিনীতে স্থান পেয়েছে। এ যুদ্ধ বিমান যে কোনো আবহাওয়ায় উড়তে ও আঘাত হানতে সক্ষম।
১৯৭০ দশকের শেষের দিকে লাইটওয়েট ফাইটার হিসেবে মিরেজ তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি ‘স্ট্রাইক ভ্যারিয়ান্ট’ তৈরি করা হয়। অন্যদিকে ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে এর চুক্তি হয়। সেই সময়ের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬, ২০১৬ সালে পাকিস্তানকে হস্তান্তর করা হয়। এ যুদ্ধ বিমানটি তৈরি করেন লকহিড মার্টিন।
অর্থ সাশ্রয়ী হালকা বহুমুখী বিমান হিসেবেই তৈরি করা হয়েছে এফ-১৬ বিমান। মার্কিন আরেক ব্যয়বহুল বিমান এফ ১৫কে সাহায্য করতেই যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এটি ‘এয়ার টু এয়ার’-এ অত্যধিক সফল। কিন্তু মিরেজ ‘এয়ার টু এয়ার’, ‘এয়ার টু গ্রাউন্ড’ দু’টি ক্ষেত্রেই সফল।
মিরেজ ২০০০-এ উন্নত সামরিক সরঞ্জামের পাশাপাশি এটি রাতেও হামলা চালাতে পারে। তবে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানেও ‘নাইট ভিশন’ যথেষ্ট শক্তিশালী। এতে কামান, ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা ও সব রকম অস্ত্র থাকে।
মিরেজ ২০০০ নিজের সুরক্ষা পাশাপাশি আঘাত হানতেও পারে। এ যুদ্ধ বিমানে দুটি ৩০০ এমএম ডেভা ৫০ রিভলবার কামান থাকে, এফ ১৬-এর ক্ষেত্রে একটি ২০ এমএম এম৬১ ভালকান কামান থাকে বাঁ-দিকের ডানায়। এফ ১৬-এর কামানের গুলির হার ৬ হাজার রাউন্ড প্রতি মিনিটে, অপর দিকে মিরেজের কামানে গুলির হার ১৮০০ রাউন্ড প্রতি মিনিটে।
মিরেজে চালকের হেলমেটের মধ্যেই থাকে ডিসপ্লে। এর ফলে সুপার ইমপোজড রাডার ডাটা দেখতে পারেন চালক। ককপিটে ডিসপ্লে থাকার প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে এফ ১৬-এর ককপিটও বেশ উন্নত। এতে রয়েছে মাল্টিফাংশনাল ডিসপ্লে।
মিরেজে রয়েছে রয়েছে মারাত্মক শক্তিশালী রাডার। যার ফলে লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে সহজেই। ডপলার বিমিং প্রযুক্তির মাধ্যমে ভূমিতে থাকা যে কোনও বস্তুর নিখুঁত মানচিত্র এঁকে ফেলতে সক্ষম। পাকিস্তানের এফ ১৬-এর রাডারও শক্তিশালী। এই বিমানে ভার্টিকল স্টেবিলাইজার আছে। ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ সম্ভব যুদ্ধের সময়ও।
মিরেজের থেকে ওজন বহন করার ক্ষমতা এফ-১৬-এর অনেকটাই বেশি। মিরেজ ২০০০ দূরপাল্লার অভিযানে বেশি সফল, এফ-১৬ মধ্যমাত্রার অভিযানে বেশি সফল।
মাটিতে থাকা যে কোনো চলন্ত বস্তুকেও নিশানা করতে সক্ষম দু’টি যুদ্ধবিমানই। অত্যন্ত শক্তিশালী মিরেজ যুদ্ধবিমানের অতি স¤প্রতি আধুনিকীকরণ হয়েছে। যদিও এমনিতে আকাশপথে ২৩৩৬ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ওড়ে মিরেজ, এফ ১৬-এর গতি ২৪১৪ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। মিরেজ ২০০০ এর চেয়ে আকাশপথে যুদ্ধের ক্ষেত্রে এফ ১৬-কেই এগিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। অস্ত্র রাখার ক্ষমতার দিক থেকে এফ-১৬-এর ক্ষমতা খানিকটা বেশি। মিরেজের থেকে আরও একটা জায়গায় এফ ১৬কে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এগিয়ে রাখছেন, কারণ উল্লম্বভাবে আকাশপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এফ ১৬-এর গতি অনেকটাই বেশি। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।