দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
নামাজকে বরবাদ ও ধ্বংস করার উদ্দেশ্য শুধু কেবল নামাজকে ছেড়ে দেয়াই নয়, বরং বেশীর ভাগ এর হাকীকত বিনষ্ট করা এবং এর প্রাণশক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়াও বুঝায়। মুসলমানগণ যখন স্বীয় নামাজের জন্য হাইয়্যা আলাস সালাহ (নামাজের জন্য আসুন) ধ্বনি বুলন্দ করতেন, তখন ইহুদী ও নাসারাগণ হাসিতামাসা করতে থাকত। তাদের এই কর্মকান্ড সম্পর্কে আল-কুরআনে এই সাক্ষ্য প্রদান করেছে যে, আল্লাহর এবাদতের প্রাণশক্তি এতখানি নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল যে, যখনই অন্যান্য লোকজন আল্লাহর এবাদতের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হত, তখন তারা এটাকে হাসি-তামাসা ও খেলা বলে উপহাস করত। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হচ্ছে, “এবং যখন তোমরা নামাজের জন্য আহ্বান কর, তখন তারা এটাকে হাসি-তামাসা বলে উপহাস করে, তা এজন্য যে, তারা ছিল বুদ্ধিহীন কওম।” (সূরা মায়েদাহ : রুকু-৯)
আহলে আরব এবং কুরাঈশদের মাঝে যারা পৈতৃক মাযহাবের উপর ছিল, তারা যদিও নামাজের আকৃতি সম্পর্কে কিছুটা পরিচিত ছিল, কিন্তু কখনো ভুলক্রমে এই ফরযকে আদয় করত না। মূর্তিপূজা, জ্বিনদের আশ্রয় গ্রহণ এবং ফেরেশতাদের সন্তুুষ্টি অর্জনই ছিল তাদের এবাদতের মূলমর্ম। হজ্জ, তাওয়াফ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা আল্লাহর নিকট দোয়া ও প্রার্থনা করত, কিন্তু এখানেও তারা দেবতাদের নাম উচ্চারণ করত এবং শেরকসম্ভূত শব্দাবলী উচ্চারণ করত। তাদের মাঝে বিনয় সহকারে এক আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করার নাম-গন্ধও ছিল না। তারা যখনই মুসলমানদের নামাজ পড়তে দেখত, তখনই তাদের মুখ বিকৃত হয়ে যেত এবং উচ্চ:স্বরে শব্দ করত এবং তালি বাজাত। এ সম্পর্কে আল-কুরআনে ঘোণণা করা হয়েছে, “এবং খানায়ে কাবাতে তাদের নামাজ ছিল শীষ দেয়া ও তালি বাজানো।” (সূরা আনফাল)
প্রাচীন মুফাসসিরগণ এই আয়াতের দু’টো মতলব বিবৃত করেছেন। (১) প্রকৃতই তারা যখন নামাজ আদায় করত তখন শীর্ষ দিত ও তালি বাজাত। (২) আর মুসলমানগণ যখন নামাজ আদায় করতেন, তখন তারা শীষ দিয়ে ও তালি বাজিয়ে তাদের নামাজকে পন্ড করে দিতে সচেষ্ট হত। মূলত : তাদের নামাজই ছিল এরূপ। (ইবনে জারীর, তাবারী) প্রথম অর্থের দিকে লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে, তাদের নামাজ ছিল খেল-তামসা ও শোরগোল করার নামান্তর মাত্র। আর দ্বিতীয় অর্থ অনুসারে বুঝা যায় যে, তাদের মাঝে প্রকৃতপক্ষে কোন নামাজই ছিল না, বরং অন্যান্যদেরকে নামাজ হতে বিরত রাখাই ছিল তাদের মূখ্য উদ্দেশ। অপর এক আয়াতে এসেছে, “তুমি কি ঐ ব্যক্তিকে দেখেছ যে এক বান্দাহকে নামাজহতে বিরত রাখতে প্রয়াসী।” (সূরা আলাক) এখানে এক বান্দাহ বলতে রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর সত্তাকে বুঝানো হয়েছে। কেননা, তিনি যখন কাবা প্রাঙ্গনে নামাজরত হতেন, তখন কুরাঈশরা বেখেয়ালভাবে এখানে-সেখানে বসে থাকত এবং কখনো রাসূলুল্লাহ (সা:)-কে উপহাস করত এবং কখনো শোরগোল করত, পিঠের উপর নাপাক বস্তুু ছুঁড়ে মারত। কখনো তিনি যখন নিক্ষিপ্ত বস্তুুর ভারে মাথা তুলতে পারতেন না, তখন উচ্চে:স্বরে হাসি-তামাসা করত। (তফসীরে ইবনে জারীর ও সহীহ বুখারী) এজন্য রাসূলুল্লাহ (সা:) ইসলামের শুরুতে গোপনীয়তা রক্ষাকল্পে এবং তাদের নিগ্রহের হাত হতে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে দিনে ও রাতে কোনও নিবৃথগুহায় গমন করে সেখানে নামাজ আদায় করতেন। এমনকি মুসলমানগণও চুপে চুপে নির্জনে নামাজ আদায় করতেন। অথবা নির্জন রাতে এই ফরজকে সম্পাদন করতেন। তবুও যদি অবিশ্বাসীরা তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারত, তখন তাদেরকে আক্রমণ করতে উদ্যত হত এবং প্রতিহত করতে প্রচেষ্টা চালাত। ইবনে ইসহাকে বলা হয়েছে যে, সাহাবায়ে কেরাম যখন নামাজ পড়তে ইচ্ছা করতেন তখন কোনও গোপন ঘাঁটিতে চলে যেতেন। একবার হযরত সায়াদ বিন আবু ওয়াক্কাস (রা:) কতিপয় সাহাবীসহ মক্কার কোন এক ঘাটিতে নামাজ পড়ছিলেন, এমন সময় মুশরেকীনদের একটি দল এসে হাজির হল, তারা নামাজকে একটি নতুন কাজ বলে মনে করল এবং মুসলমানদেরকে গালি-গালাজ করে আক্রমণ করতে উদ্যত হল। (সহীহ বুখারী)
মোটকথা রাসূলুল্লাহ (সা:) যখন মানুষকে আল্লাহর সন্নিধানে মস্তক অবনত করার আহ্বান জানালেন, তখন আরবে তিন শ্রেণীর লোক বিদ্যমান ছিল। (১) ইহুদী, যারা নামাজ পড়ত কিন্তু এর হাকীকত সম্পর্কে সম্পূর্ণ বেখেয়াল ছিল। মূলত : তাদের নামাজ ছিল, লেজ কাটার মত ভ্রান্ত কল্পনা-বিলাস, আন্তরিকতাহীন, একাগ্রতাহীন, ভয়-ভীতিহীন অনুষ্ঠান মাত্র। (২) খৃস্টান্ত সমাজ, যারা আল্লাহর ইবাদতের সাথে মানুষের এবাদতকেও এক বলে মনে করতো, তারা তাহাদের সাথে শেরেকী অবস্থাকে যুক্ত করে ফেলেছিল। (৩) আরবের মূর্তিপূজারী শ্রেণী যারা কখনো আল্লাহর নাম নিত না, কখনো আল্লাহর সামনে মাথা নতও করত না, এমনকি নামাজের রূহানী স্বাদ ও আকর্ষণ সম্পর্কে কিছুই ধারণা করতে পারত না।
তাওহীদের পর ইসলামের প্রথম রোকন :
রাসূলে পাক (সা:) নবুওতপ্রাপ্তির পর সর্বপ্রথম তাওহীদের দীক্ষা লাভ করেন। তাওহীদের পর প্রথম নির্দেশ যা লাভ করলেন, তা হলো সালাত। ইরশাদ হচ্ছে, “হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠুন, সতর্কবাণী প্রচার করুন এবং আপনার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন।” সুতরাং আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করাই হলো সালাতের বুনিয়াদ। এরপর পর্যায়ক্রমে সালাতের পরিপূর্ণতা সাধিত হয় আহকাম, আরকান, ওয়াজেব, সুন্নাত, মোস্তাহাব এবং আদায়ের পদ্ধতি ও কাঠামো সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা:) সকলকে অবহিত করেন। তারপর আরও ইরশাদ হলো, “আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র রাখুন এবং অপবিত্রতা হতে দূরে থাকুন।” নির্দেশের এই পর্যায়ে রূহানী মি’রাজের শীর্ষদেশের মুক্তাঙ্গন উদ্ভাসিত হয়ে গেল। আল্লাহর হাবীব (সা:) নিদ্রাচ্ছন্নদের জাগিয়ে তুললেন, পথভ্রান্তদের পথের দিশা দান করলেন, রূহানী মি’রাজ সম্পর্কে যাদের কোনই ধারণা ছিল না তাদেরকে পরিপূর্ণ জ্ঞানদান করলেন এবং সালাতের মাধ্যমে বান্দাহ ও আল্লাহর মধুর মিলনের এতকালের ছিন্ন সেতুবন্ধনকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করলেন। এমন কি সোনা, রূপা, পাথর, মূর্তি ও ভ্রান্ত উপাদানকে নির্মূল করে এক আল্লাহর স্বীকৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরলেন এবং এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কাহারো সামনে মাথা নত করা, প্রণিপাত করা ও উপাসনা করাকে সর্বৈব হারাম ঘোষণা করলেন।
এভাবে রাসূলে পাক (সা:)-এর শিক্ষার মাধ্যমে সারাবিশ্বে সালাতের হাকীকত বিকাশ লাভ করে। তিনি আরববাসী ও দুনিয়ার মূর্তিপূজারী সম্প্রদায়গুলোর সামনে সালাতের পদ্ধতি বিকশিত করলেন এবং আরকান ও নিয়মাবলি একে একে তুলে ধরলেন। খ্রীষ্টানদেরকে অদ্বিতীয় স্রষ্টার এবাদতের প্রতি অনুপ্রাণিত করলেন, ইহুদীদেরকে সালাতের মর্ম, আন্তরিকতা ও বিশুদ্ধচিত্ততার সংবাদ দান করলেন এবং আম্বিয়াগণের বিক্ষিপ্ত সালাত পদ্ধতিকে একই কেন্দ্রে সমন্বয় সাধন করলেন। তাছাড়া প্রাণ ও দেহের সমন্বিত ভালোবাসার স্রোতধারা সালাতের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত করলেন। সাথে সাথে নির্দেশ হল, “তোমরা সালাতকে হেফাজত করো।” এই নির্দেশের মাঝে সালাতের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ উভয় দিকের হেফাজতই বিদৃথ রয়েছে। আর সত্যিকার মুসলমান কে হতে পারে তার স্বরূপ এবং এর চিহ্ন নিরূপিত হওয়ার দিকনির্দেশনা সম্বলিত নির্দেশও জারী হলো। ইরশাদ হচ্ছে, “যারা স্বীয় সালাতের হেফাজত করে, যারা সার্বিকভাবে সালাত প্রতিষ্ঠায় তৎপর; তারাই কামিয়াব যারা তাদের সালাতের হেফাজতে উন্মুক্ত থাকেন।”
সালাতের প্রতিষ্ঠা শুধু কেবল একক ব্যক্তিসত্তার উপরই নির্ভরশীল নয়। এর ক্ষেত্রে বহুল বিস্তৃত ও সুদূর প্রসারী। একারণে আল্লাহপাক নির্দেশ করলেন “হে প্রিয় হাবীব! আপনি স্বয়ং সালাত কায়েম করুন, পরিবার-পরিজনদেরকে সালাত আদায়ের হুকুম প্রদান করুন এবং সর্বাবস্থায় একান্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সালাত প্রতিপন্ন করুন।” যেমন ইরশাদ হচ্ছে, “আপনার গৃহবাসীদের প্রতি সালাতের তাগিদ প্রদান করুন, এর উপর সুদৃঢ় থাকুন। ”
সালাত কেমনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে এর স্বরূপ বিশ্লেষণ করে আরো এরশাদ হচ্ছে, “আল্লাহর সামনে আদব ও শিষ্ঠাচারসহ দন্ডায়মান থাকুন।” সাথে সাথে এই একনিষ্ঠ আত্মনিবেদনকারীদের শুভ পরিণামও ঘোষিত হলো। ইরশাদ হচ্ছে, “তারাই সফল যারা স্বীয় সালাতে একান্ত আত্মসর্মণকারী। এই সফলতাকে সর্বাঙ্গিন সুন্দর ও প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য আরও অধিক উৎসাহ প্রদান করে ঘোষণা করা হলো, “তোমরা স্বীয় পরওয়ারদিগারকে নি:শর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে নীরবে ডাকতে থাক।”
আল্লাহ ও বান্দাহর সার্বিক সম্পর্ককে জোরদার করার জনস্য পুনরায় ঘোষণা করা হল, “মিলনের প্রত্যাশা এবং বিরহের ভীতি নিয়েই ইবাদতে অগ্রসর হও।” সুতরাং বিরহ বিচ্ছেদের ভয় যখন মিলনের মধুর পরশে বিদূরীত হয়ে যাবে তখন একান্ত আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর স্মরণকে সঞ্জীবিত করে তোলে। ইরশাদ হচ্ছে , “আল্লাহর স্মরণকে এমনভাবে উজ্জীবিত কর যেন খালেস দ্বীন ও মাশুকের দীদার লাভের আকাঙ্খা মূর্ত হয়ে ফুটে উঠে।”
এই প্রাণবন্ত রূপের মর্মবাণী হলো, বস্তুকে অতিক্রম করে বস্তুহীনতায় উন্নতি হওয়া এবং বস্তুুহীন প্রেমময়ের প্রেমের সাগরে হারিয়ে যাওয়া। এটা কেমন করে প্রতিষ্ঠা লাভ করে তার অবস্থা সম্বন্ধে সম্যক সচেতন হওয়া সকল বান্দাহর উচিৎ।
আমরা জানি, জীবমান প্রত্যেক মানুষেরই দু’টি রূপ আছে। একটি হলো, তার বস্তুুগত রূপ কাঠামো বা সুরত এবং দ্বিতীয়টি হলো, অন্তর্নিহিত প্রাণশক্তি বা রূহ। আগুন, পানি, মাটি, বাতাস দ্বারা নির্মিত দেহ কাঠামো বস্তুুর আবরণে আচ্ছাদিত ও অন্ধকার পরিমন্ডলে অবস্থিত।
কারণ প্রতিটি বস্তুর সাথেই অন্ধকার আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে। এই বস্তুুসর্বিস্ব অন্ধকারে নিবদ্ধ মানুষ নামের কাঠামোটিকে উজ্জ্বল ও জ্যোতির্ময় করার লক্ষ্যে বস্তুুহীন পবিত্র জগতের আলোর বিন্দু সদৃশ রূহ-রূপ প্রাণশক্তিকে এর মাঝে বিচ্ছুরিত করা হয়েছে একটি মাত্র নির্দেশের দ্বারা। যার কথা তুলে ধরে ইরশাদ হচ্ছে, “বলে দিন, রূহ হচ্ছে আমার প্রতিপালকের নির্দেশের প্রতিফলন মাত্র।” এতে বস্তু এবং বস্তুহীনতার সংমিশ্রণে সঞ্চারিত হয়েছে একটি আবেগ প্রবণতা, একটি অনুরাগের মৃদু গুঞ্জরণ। বান্দাহ যখন সালাত কায়েমের লক্ষ্যে দন্ডায়মান হয় তখন গুঞ্জরণেল প্রকাশ ঘটে-তাকবীরের মাধ্যমে। তারপর শুরু হয় তার অগ্রযাত্রা, আলোর কেন্দ্রবিন্দু দিকে। যে কেন্দ্র হতে বিচ্ছুরিত হয়েছে তার প্রাণশক্তি ধাবিত হয় অস্তিত্বে হতে অনস্তিত্বের সীমাহীন জগতের দিকে। প্রেম, প্রণয়, অনুরাগ ও ভালোবাসা তাকে দেয় উৎসাহ ও উদ্দীপনা। আলোর বিকিরণ যতই বিস্তৃতি লাভ করে, ততই তার গতিময়তা বাড়তে থাকে, দ্রুত হতে দ্রুততর হতে থাকে তার অগ্রযাত্রা। এরই মাঝে যখন সে রুকুতে উপনীত হয়, তখন সে ভুলে যায়, চিরতরে হারিয়ে যায় তার যাত্রালগ্নটি। যা ছিল বস্তু হতে উৎসারিত। এখন আর বস্তুময় পরিমন্ডলে সে বিচরণ করে না। তখন হতেই বস্তুহীনতার সাগরে সে পাড়ি জমায়। এভাবে অগ্রসর হয়ে চরম ও পরম লক্ষ্যে উপনীত হয় সেজদার হালতে। যেখানে আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই নেই। এখানে বান্দাহ নি:শেষে বিলীন হয়ে যায় সীমাহীন আলোর বন্যায়। সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু হতে গুঞ্জরিত হতে থাকে, “সোবহানা রাব্বিয়াল আলা” ধ্বনি। যেমন, আল্লাহর হাবীব (সা:)-এর জবান হতে চূড়ান্ত মুহূর্তে ধ্বনিত হয়েছিল “আল্লাহুম্মা বিব্রাফিকিল আলা” ধ্বনি। তাই হৃদয়ের তারে তারে পরাণের শোণিত ধারে সে ধ্বনির গভীর মূর্ছনা ও ব্যাকুল ব্যঞ্জনার প্রভঞ্জন জাগিয়ে তোল সালাতের ভিতর দিয়ে, হে পথিক! এ পথ যে অফুরান। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।