পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক রিপোর্টার : ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সরকারের কাছে বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে তাদের দাবি কূটনীতিকরা সরাসরি বাড়তি নিরাপত্তার দাবি না করলেও এমন ভাবভঙ্গি প্রকাশ করছেন যে, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তারা বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের মিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্প্রতি সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে নিজেদের ব্যক্তিগত ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, কূটনৈতিক মিশনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ মিশনে কর্মরতদের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন নয়। ইতোমধ্যেই সকল মিশনের কূটনীতিবিদদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে। গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গুলশান, বনানী ও ডিওএইচএসসহ অভিজাত এলাকাগুলোতে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের মিশনগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকে। তারা জানান, সম্প্রতি রাজধানীর কলাবাগানে মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও দাতা সংস্থা ইউএস এইডের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়ের নৃশংস খুনের পর বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক মিশন থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রবল দাবি ওঠে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, মিশনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা সহজ কাজ হলেও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকে ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকেন। একেকটি ফ্ল্যাটে এত বেশি মানুষ থাকেন যে সেসব ফ্ল্যাটে সুনির্দিষ্টভাবে কেবল দু’একটি পরিবারের জন্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজটি সহজ নয়। তবে তাদের নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
অবশ্য কূটনৈতিক এলাকায় দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদ- কার্যকর করা, বিরোধীদলের কথিত আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও কঠোর হস্তে দমনে বর্তমান সরকারের দৃঢ় নীতি ও সর্বোপরি বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কূটনৈতিক মিশনের কেউ কেউ ভাল চোখে দেখছে না। তারা নানাভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল প্রমাণ করতে উঠে-পড়ে লেগেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।