পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দু’টি মামলায় দন্ডিত হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এবার তার আরেকটি মামলা আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই মামলাটি হলো বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা। হাইকোর্টের এই নির্দেশনার ফলে ১০ বছর ধরে বন্ধ থাকা মামলাটি এখন ফের সচল হলো বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী। মামলা বাতিলের দাবিতে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল খারিজ করে গতকাল আদালত এই নির্দেশ দেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ নির্দেশনা দেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। অন্য দিকে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
আদালতের নির্দেশনার পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, মামলা বাতিলে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। এখন নিম্ন আদালতে এ মামলা চলতে বাধা নেই। এ ছাড়া এ মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০০৯ সাল থেকে এ মামলাটির সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজকের আদেশের ফলে মামলাটি এখন সচল হলো। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে দুদক ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির দন্ডবিধি আইনের ৪০৯/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত্যুদন্ড কার্যকর), সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত্যুদন্ড কার্যকর), এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
উল্লেখ্য, এই মামলার ৬ জন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকিদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য আছে। গত ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালত এই তারিখ ঠিক করেন। এই মামলায় দীর্ঘ দিন ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত থাকায় বিচারিক আদালতে মামলার চার্জ গঠন করা সম্ভব হয়নি। ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি বাতিলের জন্য ফৌজদারি বিবিধ মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এই মামলায় রুল ও স্থগিতাদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।