পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশে ২০১৩ সালে কাজ শুরু করে তিন বছরে অ্যাকর্ড ১ হাজার ৫৫০টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ কারখানার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। আর সাসপেন্ড (বন্ধ) করা হয়েছে ২৬টি কারখানা।
গতকাল (রোববার) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান অ্যাকর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েজ। অ্যাকর্ডের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করে স্টিকটিং বাংলাদেশ অ্যাকর্ড ফাউন্ডেশন।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পকে নিরাপদ করতে পোশাক ব্র্যান্ড, রিটেইলার, দু’টি গ্লোবাল ইউনিয়ন ও তাদের সঙ্গে তৈরী পোশাক শিল্পের সংশ্লিষ্ট সহযোগীদের নিয়ে ২০১৩ সালের ১৫ মে একটি চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তির অংশ হিসেবেই অ্যাকর্ড বাংলাদেশের ফায়ার ও বিল্ডিং সেফটি নিয়ে কাজ শুরু করে। এ চুক্তিতে ২১০টির বেশি কোম্পানি সই করে এবং প্রায় ১ হাজার ৬০০টি কারখানা চুক্তির আওতায় আসে। সংবাদ সম্মেলনে রব ওয়েজ বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কার কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব পোশাক কারখানা পরিদর্শন করা এবং সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভাব হবে। চুক্তির শর্তানুযায়ী অ্যাকর্ড ২০১৮ সাল পর্যন্ত কাজ করবে।
তিন বছরে অ্যাকর্ডের অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫৫০টি কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে। ৭৫টি নতুন তালিকাভুক্ত কারখানায় পরিদর্শন চলমান আছে। ১ হাজার ৪৫২টি ক্যাপস প্রকাশিত হয়েছে। সেইফটি কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। দেশে ২ শ’র ওপরে সক্রিয় কর্মী রয়েছে।
সংশোধনী কাজের বিষয়ে তিনি জানান, ৩২ হাজার ৭২৬টি বৈদ্যুতিক, ৩২ হাজার ৩৩টি অগ্নি এবং ১৯ হাজার ৪১৫টি কাঠামোগত সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক ২৪ হাজার ৩৬৪টি, অগ্নি ১৬ হাজার ১৮১টি এবং কাঠামোগত সমস্যা ৭ হাজার ১৬২টি সংশোধন করা হয়েছে। শতকরা হিসাবে ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ বৈদ্যুতিক, ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ অগ্নি এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ কাঠামোগত কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
রব ওয়েজ বলেন, সংশোধনী কর্মপরিকল্পনায় ৭টি কারখানায় ক্যাপ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫৭টি নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী কাজ করছে। আর বাকি ১ হাজার ৩৮৮টি নির্ধারিত সময়সীমার চেয়ে পিছিয়ে আছে।
তিনি জানান, কারিগরি সহায়তার অংশ হিসেবে অ্যাকর্ড ১০০ জন প্রাতিষ্ঠানিক ইঞ্জিনিয়ার দিয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৪৫২টি ফলোআপ পরিদর্শন, ১ হাজার ৩৯১টি টেকনিক্যাল ডিজাইন পর্যলোচনা এবং ৯২২টি ডিইএ পর্যালোচনা করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রব ওয়েজ বলেন, গত ৩ বছরে ৫০টি কারখানা রিলোকেড (এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়া) করা হয়েছে। ২৬টি কারখানা সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি অতিসম্প্রতি সাসপেন্ড করা হয়েছে। অ্যাকর্ডের ফান্ডের বিষয়ে তিনি জানান, অ্যাকর্ডের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ আছে। এ বরাদ্দের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৪০ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।