পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার উৎখাত ও জয় হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ইমরান এইচ সরকার ও মোসাদের সঙ্গে বৈঠকের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মোসাদের সিপন বসুরা পশ্চিমা ষড়যন্ত্রকারীদের এদেশে আনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। এরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সুদখোর ইউনুস, আবেদ খান, শফিক রেহমান, ইমরান এইচ সরকার ইস্যুসহ সরকারের বিজয় ঠেকানোর ইস্যুতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে তারা বুঝতে পেরেছে-বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে হলে ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্কের অবনতি ঘটানো ছাড়া সম্ভব নয়। এজন্য মোক্ষম অস্ত্র হলো ‘বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে’ এটা ফলাও করা। এই চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে এরা বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলো বর্তমান সরকারের আমলে বলে চালিয়ে দিচ্ছে। যাতে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার পশ্চিমা ষড়যন্ত্রকারীদের কথা শুনে সরকারের উপর অনাস্থা প্রকাশ করার ব্যবস্থা করবে। এভাবেই বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় আনা যাবে বলে তারা ধারণা করছে। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মোসাদ ইস্যু, আইএস ইস্যুতে জড়িত রয়েছে ইমরান এইচ সরকার, শফিকুর রেহমান, আবেদ খান, ড. ইউনুস ও মোসাদের সাথে বৈঠককারী বিএনপি নেতারা। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে মোসাদ-শিপন বসুরা ভারত সরকারকে বাধ্য করতে গত ৬ মে চেন্নাইয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী গুরুজী শ্রী শ্রী জয়েন্দ্র শরস্বতী মহারাজের সাথে সাক্ষাৎ করেছে হিন্দু স্টাগল কমিটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে। মহারাজ বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কথা শুনে ব্যথিত হয়ে মোদির কাছে বিষয়টি উত্থাপনের বিষয়ে তাদের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত ইমরান এইচ সরকার গণজাগরণ মঞ্চ দিয়ে বিষধর সাপরূপে আওয়ামী লীগের ঘরে প্রবেশ করে ফনা তুলতে শুরু করছে। আর বাম দল ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে সরকারের মন্ত্রী হয়ে রাশেদ খান মেনন ও সরকারবিরোধী বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছে। তাই জামাতি বর্তমান নাস্তিক ইমরান এইচ সরকারকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে তার ফনার ঘাড় ভাঙতে হবে। আর রাশেদ খান মেননকে অবিলম্বে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বহিষ্কারসহ মোসাদের সাথে বৈঠককারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠিন বিচার করতে হবে। অন্যথায় সময় সুযোগ বুঝে এরা দু’জনই তাদের অনুসারীদের নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ফনা তুলবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যকরি সভাপতি আলহাজ হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী ও ওলামা লীগ নেতা মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, শওকত আলী শেখ সেলিমপুরী এক বিবৃতিতে উল্লিখিত কথাগুলো বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইমরাই এইচ সরকার ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার সরকার ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দিয়েছে, এমন কী সজিব ওয়াজেদ জয়ের মতো মেধাবী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং জাতির গর্বিত সন্তান হত্যা করার পরিকল্পনায় ও ইমরানের নাম আসছে। গতকাল সে আবার বলেছে, আওয়ামী লীগ নেতারা মূর্তি ও মন্দির ভাঙছে। যাহা বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। আর রাশেদ খান মেনন বলেছে, বাংলাদেশে আইএস না থাকলেও আই এস’র অনুসারী আছে। বর্তমান সরকারের মন্ত্রী হয়ে রাশেদ খান মেনন বাংলাদেশে আইএস’র অনুসারী আছে বলে কাদেরকে বুঝাতে চেয়েছে, জাতি তা জানতে চায়। ওলামা লীগের প্রশ্ন? তাহলে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কর্মীরাই কী আইএস’র অনুসারী?
ইমরান এইচ সরকার সম্পর্কে ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে উত্থান পাওয়া ইমরান এইচ সরকার কৃষিমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিবকে গণজাগরণ মঞ্চে উঠতে না দিয়ে অপমানের ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে প্রমাণ করেছে ইমরান আসলেই আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকার বিরোধী। সে গণজাগরণ মঞ্চে জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিতে পর্যন্ত দেয় নাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।