পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : চলতি রবি মৌসুমে সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে ফুটফুটে বালি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। এ জমিগুলোর অধিকাংশই এর আগে ছিল পতিত।
কিন্তু চরাঞ্চলের জমিতে ধান-পাটসহ বিভিন্ন রবি ফসল চাষ করায় বালির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে উর্বর মাটিতে পরিণত হয়েছে। তাই ধান, পাট, তামাক, গম, পিঁয়াজ, মরিচ, তিল-তিশি, সরিষা, কালিজিরাসহ বিভিন্ন রবি ফসল চাষ করছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুুক‚লে থাকলে ফলন হয় খুব ভালো। পাটের দাম চাহিদামতো থাকায় পাট চাষে কৃষক ঝুঁকলেও কিছু অনাবাদি জমিতে বাদামের চাষ করা হয়। তারপরও যারা বাদাম চাষ করেছেন কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী, তাদের ফলন হয়েছে অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক ভাল। বাদামের প্রকারভেদে ফলন হয় কম-বেশি। এ অঞ্চলে সাধারণত দেশীয় জাতের বাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে বালু জমি তেমন চাষ করা লাগে না। ফুটফুটে বালু হওয়ায় ২/১টি চাষ করেই জমিতে বীজ লাগানো হয়। নিজাম খাঁ গ্রামের বাদাম চাষী কাশেম আলী, পোড়ার চরের কৃষক রেজাউল ইসলাম, হরিপুর চরের কৃষক সাজু জানান, স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে বাদাম চাষ করায় এবার বাদাম হেক্টরপ্রতি ১.৬০ মেট্রিক টন ফলন হতে পারে। কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর রবি মৌসুমে (খরিপ-১) ৫২ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদাম কৃষকের লাভজনক ফসল। কারণ যে জমিতে কোন ফসল হয় না সেই বালু জমিতেই বাদামের চাষ হয়। বাদামের বীজ লাগানোর পর তেমন একটা পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। দেখা যায় বাদাম চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ কম। কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান, কৃষির উপর কৃষকদের প্রশিক্ষণে বাদাম চাষের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যে সব কৃষক এ নির্দেশনা মোতাবেক বাদাম চাষ করেছে তাদের ফলন হবে বাম্পার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।