পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘গর্জন’ করেই চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তবে বিরোধী এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, গা-গরম করা যাবতীয় সংলাপ আসন্ন নির্বাচনকে লক্ষ্যে রেখেই। সেগুলির বাস্তব উপযোগিতা বা মূল্য বিশেষ নেই। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
যেমন কেন্দ্রীয় পানিসম্পদমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি শুক্রবার বলেন, ‘পাকিস্তানকে আমরা পানি দেওয়া বন্ধ করে দেব। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি বন্ধ করে দেওয়ার জিগির তুলে পাঞ্জাবসহ কিছু রাজ্যে ভোটে ফায়দা তোলার কথা ভাবতে পারে শাসক দল। কিন্তু এটি একান্তই অবাস্তব। বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে পানিচুক্তি হয়েছিল। একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে এলে ভারতকে বিশ্বব্যাঙ্কে জবাবদিহি করতে হবে (যা আজ পাকিস্তানও বলেছে)। তাছাড়া, উচ্চ অববাহিকায় অবস্থিত ভারত যদি পাকিস্তানকে পানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে এরপর চীন ব্রহ্মপুত্রের পানি বন্ধ করলে ভারতের বলার কিছু থাকবে না। ভারত সিন্ধু পানিচুক্তি থেকে বেরিয়ে এলে জম্মু ও কাশ্মীরে বন্যার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত ধাক্কা খাবে নয়াদিল্লিই।
পানিসম্পদ মন্ত্রীর হুমকি নিয়ে প্রশ্ন করা সত্তে¡ও তাই মুখ খুলতে চায়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, এ যে নেহাতই ফাঁকা আওয়াজ, তা প্রমাণিত। উরি হামলার পরেও ঠিক একই কথা বলেছিল কেন্দ্র।
আবার পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই বলেছিলেন, দেশে সেনাদের রক্ত টগবগ করে ফুটছে। বড় মূল্য দিতে হবে পাকিস্তানকে। তার ঠিক এক সপ্তাহ পরে সউদী যুবরাজের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ প্রয়োজন’। প্রশ্ন উঠেছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘জোশ’ কমে এল কেন ?
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ছ’দিন আগে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ফোন করেন ভারতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে। সূত্রের খবর, ফোনেই ‘যথেষ্ট কড়া ভাবে’ সাউথ ব্লককে জানিয়ে দেওয়া হয় যে একতরফা সংঘাতের মনোভাব না নিতে। যা করার, আমেরিকার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে করতে ডোভালকে পরামর্শ দেন বোল্টন। এরপর আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শৃংলা দিল্লি ফিরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানিয়ে দেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সঙ্কটজনক সময়ে এই অঞ্চলে অশান্তি চাইছে না হোয়াইট হাউস। যা করার, কূটনৈতিকভাবে করতে হবে।
সূত্রের মতে, কূটনৈতিক মন্থর প্রক্রিয়া ভোটের রাজনীতিতে লাভজনক নয়। তাই পাক-নীতির প্রশ্নে ‘বাহুবলী’ সংলাপ আমদানি করতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহও বলেছেন, ‘পাকিস্তান আমাদের ভয়ে কাঁপছে। ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় তারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গ্রামগুলি ফাঁকা করে দিয়েছে। আমাদের মনে আগুন জ্বলছে। শুধু সময় এবং সুযোগের অপেক্ষা।’
কিন্তু বাস্তবে বড়জোর নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নির্দিষ্ট জঙ্গিদের উপর কিছু অভিযান হতে পারে। তার বেশি কিছু অদূর ভবিষ্যতেও করা সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গে আর একবার প্রশ্ন উঠেছে বহুচর্চিত ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’এর ‘প্রমাণ’ এবং ‘কার্যকারিতা’ নিয়েও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।