প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : নামাজ পড়ার জন্য বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজে দীর্ঘ, মধ্যম ও হ্রস্ব সূরা পাঠের নিয়ম আছে। এ নিয়ম মানা সুন্নাত। আলেম হাফেজ ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে এ নিয়ম মানা অনেক সময় সম্ভব হয় না। যারা জামাতে নামাজ পড়েন, যোগ্য ইমাম হলে এ সুন্নাত তাদের আদায় হয়ে যায়। একা পড়লে নিজের সাধ্যমত পড়লেও চলে। তাতে নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না। সহীহ পড়া অল্প ভালো। লম্বা পড়তে গেলে যার কেরাত অশুদ্ধ তার সুন্নাত আদায়ের চেয়ে নামাজ নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে বেশি। এটি ভুল কেরাতের জন্য। অতএব, আপনি নিজের অবস্থা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন। দীর্ঘ, মধ্যম ও হ্রস্ব সূরা নির্ধারিত আছে। একটানা চল্লিশ আয়াত বা কমপক্ষে তিন আয়াত এমন নিয়ম নিজ নিজ ক্ষেত্রে পালনের জন্য। অনেক সূরা একসাথে করে তেলাওয়াত দীর্ঘ করার নিয়ম নেই। আপনি স্বাভাবিক ভাবে নামাজ পড়বেন, এটাই ঠিক। তবে ইচ্ছা করলে নফল নামাজে নিজের জানা বহু সূরা বা তরতীব অনুযায়ী বহু আয়াত জোড়া দিয়েও পড়তে পারেন। ফরজ নামাজে এভাবে না পড়ে আল্লাহর দেওয়া সাধারণ ছাড় গ্রহণ করাই উত্তম। যেখানে আল্লাহ বলেছেন, সূরা ফাতিহার পর কোরআনের যেটুকু তোমার সহজ মনে হয়, ততটুকু কেরাত পড়। এ নিয়ম অনুসরণই সাধারণ মুসল্লির জন্য উত্তম।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।