প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : যেসব শিশু নিজের পেশাব পায়খানা, চলাফেরা, আচরণ বিষয়ে এখনও সচেতন হয়নি, তাদের মসজিদে না আনাই ভালো। যে বয়সে গুরুত্বপূর্ণ অফিসে, হসপিটালে শিশুদের নেওয়া নিষেধ থাকে, মসজিদেও এত কম বয়সে আনা যাবে না। কারণ, তার কারণে পুরো মসজিদের নামাজ বা জামাতে অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যারা এসব ব্যাপারে সচেতন হয়ে গেছে, তাদের আনা যায়। বরং আনা উচিত। কমবেশি ৭ বছরে এমন হয়ে যায়। হাদীসেও শিশুদের ৭ বছরে নামাজের শিক্ষা দিতে বলা হয়েছে। ১০ বছরে নামাজের জন্য চাপ দিতে বলা হয়েছে। এখানে নির্দিষ্ট ৭ বছর উদ্দেশ্য নয়। বরং নামাজীদের কষ্ট না দেয় এমন বয়স। মসজিদে চলাফেরার নিয়ম বা আদব বললে তা বোঝে বা শিখে এমন বয়স হলেই মসজিদে আসতে দেওয়া উচিত। মসজিদে সামান্য বিরক্তি বা কোলাহল সয়ে নেওয়ার জন্য সব মুসল্লির প্রস্তুত থাকতে হবে। নতুবা পরের প্রজন্ম নামাজী হবে না। তবে, অবুঝ শিশুদের দ্বারা মসজিদ নাপাক হওয়া, সীমাতিরিক্ত ছোটাছুটি, নামাজের সামনে দিয়ে চলাফেরা ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান হয়নি, এমন শিশু এনে সবাইকে কষ্ট দেওয়া শরীয়ত সম্মত নয়।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।