পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সীতাকুÐ উপজেলা সংবাদদাতা ঃ ভারতের অন্যতম গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মাহিন্দ্রা এন্ড মাহিন্দ্রা লিঃ-এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্কোর্পিও এস-১০ মডেলের এসইউভি জিপ ও স্কোর্পিও ডাবল কেবিন পিকআপ ভ্যান উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করল দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ। গত বৃহস্পতিবার সীতাকুÐে প্রগতি’র কারখানা প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন (বিএসইসি)-এর চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন, মাহিন্দ্রা এন্ড মাহিন্দ্রা লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার পঙ্কজ সিং, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবুল খায়ের সরদার, র্যাংকন অটোস লিঃ এর সি.ও.ও. আশিক উন নবী এবং মহাব্যবস্থাপক মিসেস মন্জু রানী সাহাসহ অনেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। শুরুতে এর নাম ছিলো গান্দারা ইন্ডাস্ট্রিজ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে এটি রাষ্ট্রীয়করণ করে এর নাম করা হয় প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ। শুরু থেকে ব্যাপক প্রশংসা নিয়ে চলতে থাকে এর কার্যক্রম। কিন্তু গত দুই দশকে দেশে শুল্ক মুক্ত ও রি-কন্ডিশান গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রগতির গাড়ির চাহিদা কমতে শুরু করে। আর বিগত কয়েক বছরে শুধু জাপানের মিৎসুবিসি পাজেরো ভি-৩১, পাজেরো স্পোর্ট সিআর ৪৫ মডেলের উপর প্রগতির নির্ভরতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিযোগিতার বাজারে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছিলো। এর মধ্যে গত ৩-৪ বছর আগে সরকারী বিভিন্ন পদের কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল্য সøাব নির্ধারণ করে দিলে নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী জিপ গাড়ি ও ডাবল কেবিনের পিকআপ ভ্যান গাড়ি সরবরাহ করা জরুরী হয়ে পড়ে। জাপানী মিৎসুবিসি গাড়ি উৎপাদন ও বাজারজাত করতে গেলে সরকারী চাহিদা অনুযায়ী সব পদের কর্মকর্তাদের গাড়ি সরবরাহ সম্ভব নয়। এ কারণে প্রগতি কর্তৃপক্ষ বিকল্প চিন্তা ভাবনা শুরু করে। প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আবুল খায়ের সরদার জানান, চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে ২০১২ সাল থেকেই উপরিউক্ত ভারতের অন্যতম গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মাহিন্দ্রা এন্ড মাহিন্দ্রার সাথে আলোচনা শুরু হয়। দীর্ঘ আলাপ আলোচনা শেষে ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর মাহিন্দ্রার সাথে ৩ বছর মেয়াদী চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী তাদের উৎপাদিত ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন স্কোর্পিও এস ১০ এবং ডাবল কেবিন পিকআপ ভ্যানের প্রযুক্তি সরবরাহ করা হয় প্রগতিতেও। এখানে স্কোর্পিও এস ১০ মডেলের জিপ গাড়ি তৈরিতে খরচ পড়বে ৪৬ লক্ষ টাকা এবং পিকআপ গাড়ির খরচ পড়বে ৩১.৫০ লক্ষ টাকা। এতে গাড়ি বাবদ সরকারের বিপুল অংকের টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়া আরো একটি ক্ষেত্রে মাহিন্দ্রার গাড়ি ব্যবহারকারীরা সুবিধা পাবে। জাপানের মিৎসুবিসির ক্ষেত্রে ৬ মাস বা ২০ হাজার কি.মি. পর্যন্ত তারা ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। কিন্তু মাহিন্দ্রার গাড়ি ব্যবহারকারীদের দেওয়া হবে ১৮ মাস। ক্রেতার নিকট ঐ গাড়ি হস্তান্তরের পরও ১২ মাস বা ৫০ হাজার কি.মি. এর ওয়ারেন্টি প্রদান করা হবে। এক কথায় মাহিন্দ্রা ব্যবহারে ক্রেতারা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে উপকৃত হবে আর এর মধ্য দিয়ে প্রগতিতে কাজের গতি অনেকে বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারী সংস্থাগুলোর জন্য উন্নত ও সাশ্রয়ী বাহন খুঁজছিলাম আমরা। সেক্ষেত্রে মাহিন্দ্রার উক্ত গাড়িগুলিই উত্তম সমাধান মনে হয়েছে। এই প্রজেক্ট নিয়ে তিনি অনেক আশাবাদী বলে জানান।
মাহিন্দ্রা এন্ড মাহিন্দ্রা লিঃ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার পঙ্কজ সিং বলেন, স্কোর্পিও এস-১০ এবং ডাবল কেবিন পিকআপ ভ্যানগুলিকে এমন নকশায় তৈরি করা হয়েছে যে সব শ্রেণীর গ্রাহক সর্বোচ্চ সুবিধা পাবে। এ গাড়ির আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে রিফাইন নেভিগেশন/ক্রজ কন্ট্রোল। এতে আছে ২২০০সিসি ও ১২০ অশ্ব ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন এবং ফোর হুইল ড্রাইভ যা ক্রেতাকে চালানোর সর্বোচ্চ আরাম প্রদান করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।