পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিংয়ের জন্য একটি শিল্প জোন গঠনের দাবি জানিয়েছে ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি। সমিতির নেতারা বলেন, দেশিয় শিল্প উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব ব্যাটারি উৎপাদন শিল্প গড়ে তুললেও চীনের উদ্যোক্তারা বেআইনি ও অপরিকল্পিতভাবে ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিং কারখানা স্থাপন করছে। এর ফলে দেশিয় উদ্যোক্তাদের জন্য বাজারে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে। তারা বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা ব্যাটারি শিল্প কারখানাগুলোকে আইনি কাঠামোর আওতায় আনার তাগিদ দেন।
ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির নেতারা সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বৈঠককালে এ দাবি জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সমিতির সভাপতি মুনাওয়ার মিসবাহ্ মঈন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, সহসভাপতি লোকমান হোসেনসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উদীয়মান ব্যাটারি শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় জানানো হয়, বাংলাদেশের ব্যাটারি শিল্প ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। এ শিল্পখাতে ইতোমধ্যে ২৪টি দেশিয় উৎপাদনকারী কারখানা গড়ে ওঠেছে। এসব কারখানায় উৎপাদিত মানসম্পন্ন ব্যাটারি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের প্রায় ৬৯টি দেশে রফতানি হচ্ছে। এ শিল্পখাত থেকে প্রতিবছর প্রায় ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয় হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
বৈঠকে সমিতির নেতারা ব্যাটারি শিল্পের সুষম বিকাশে একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেন। তারা বলেন, এ নীতির আলোকে পরিকল্পিতভাবে ব্যাটারি শিল্প কারখানা গড়ে তুললে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়াস জোরদার হবে। এছাড়া ট্যাক্স, ভ্যাটসহ সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তারা জাতীয় স্বার্থে অপরিকল্পিত ও বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশিয় পরিবেশবান্ধব ব্যাটারি শিল্প কারখানার স্বার্থ রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে। পাশাপাশি বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা ব্যাটারি উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। সরকার ইতোমধ্যে এ শিল্পখাতের উদ্যোক্তাদেরকে রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিল্পমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিংয়ের জন্য একটি জায়গা চিহ্নিত করে শিল্পজোন স্থাপনের বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রস্তাব দিতে সমিতির নেতাদের পরামর্শ দেন। এর ভিত্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। একই সাথে তিনি বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানাগুলোকে আইন মেনে চলতে এবং নিয়ম অনুযায়ী সরকারের রাজস্ব পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করতে সমিতির নেতাদের পরামর্শ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।