পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করার বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। শুধু নিজামী নন, অন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার প্রতিও সমর্থন জানায় দেশটি। সেইসাথে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকা থেকে ডেকে নেয়ার সিদ্ধান্তকেও অনেকটা ভুল আখ্যা দিয়ে ঢাকার পাশে দাঁড়িয়েছে নয়াদিল্লি।
ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দি হিন্দু গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে দিল্লি ও ঢাকা একযোগে কাজ করবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আমি এখানে এসেছি এ কথা জানিয়ে দিতে যে, বাংলাদেশ সরকারের সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থাবিরোধী লড়াইয়ে ভারত সরকারের শক্তিশালী সমর্থন রয়েছে। প্রতিবেশী হিসেবে এই ইস্যুতে আমাদের সরাসরি উদ্বেগ আছে।’
দি হিন্দুর ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে, এদিকে একটি পৃথক অগ্রগতি ঘটেছে। ভারত বাংলাদেশের চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচার, যাতে কয়েকজন ইসলামি নেতাকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে তার প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন ব্যক্ত করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে তাদের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলনকালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের পেন্ডিং থাকা যে রেট্রিবিউটিভ জাস্টিস সংক্রান্ত বিষয়, (শাস্তি প্রদানমূলক বিচার) তার বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারতের সমর্থন আছে।
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভূমিকার জন্য মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদ- কার্যকর করার দু’দিন পরে ভারত এই বিবৃতি প্রকাশ করল।
এছাড়া ভারতের দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজামীর বিরুদ্ধে ঢাকার বিচারিক প্রক্রিয়া যেটিতে ভারতের সমর্থন রয়েছে, সেটি নিয়ে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাও সমালোচনা করেছে। বাংলাদেশের উগ্র ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতা নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ঢাকায় নিযুক্ত তার দেশের রাষ্ট্রদূত ডেমরিক ওসতুর্ককে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে এরদোগান পাকিস্তানের প্রতিবাদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন। পাকিস্তান রায় কার্যকর হওয়ার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব তোলা হয়েছে। ইসলামাবাদে নিযুক্ত ঢাকার রাষ্ট্রদূতকেও ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোয় পাকিস্তানের দূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশও।
দেশটির বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ গত শুক্রবার তার বিবৃতিতে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে দেশটির জনগণের ব্যাপক সাড়া রয়েছে। চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়ায় ভারতেরও সমথর্ন রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এটি হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার পঞ্চম ফাঁসির রায় কার্যকর, যার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- নিশ্চিত করা হলো জামায়াতের আমিরের। এর আগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া অন্য চার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে তিনজনই জামায়াতের এবং অন্যজন ছিলেন বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।