পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শেখ হাসিনাকে হত্যা ও বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশিরউদ্দিন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক বিশেষ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ দাবি করেন। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস (১৭ মে) পালন উপলক্ষে এ যৌথ সভা করা হয়।
হানিফ বলেন, অনেকেই ভেবেছিলো বেগম খালেদা জিয়া হয়তো তার এই ঘৃণ্য মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু না। কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। মানুষ মরলে স্বভাব বদলায় না। বেগম খালেদা জিয়ার সেই ঘৃণ্য মানসিকতার এখনও পরিবর্তন হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার এবং এই সরকারকে উৎখাতে সকল ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে এখন তিনি ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের শরণাপন্ন হয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন বিএনপির এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মির্জা ফখরুল সাহেব গতকাল (শুক্রবার) বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে তাদের কোন বৈঠক হয়নি। এটা হয়তো আসলাম সাহেবের ব্যক্তিগত বৈঠক হতে পারে।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ধরা খেয়ে এখন সাফাই গাওয়ার কোন সুযোগ নেই, মির্জা ফখরুল সাহেব। ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। সেই জায়গায় আপনার দলের এক শীর্ষ নেতা কী কারণে একাধিকবার তার সঙ্গে বৈঠক করলেন? বাংলাদেশের মানুষ ঘাস খায় না। বাংলাদেশের মানুষ জানে আপনারা আবার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আপনারা গুপ্ত হত্যা চালিয়ে, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে না পেরে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থাসহ পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে অশুভ তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হানিফ বলেন, সারা জাতিকে জানিয়ে দিন বিএনপি-জামায়াত এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য নীল নকশায় লিপ্ত হয়েছে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করুন। এই অশুভ শক্তিকে মাথাচাড়া দিতে দেয়ার আর কোন সুযোগ নেই। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। এই অশুভ শক্তি যে কোন অযুহাতে রাজপথে নামলে তাদেরকে শক্তভাবে প্রতিহত করতে হবে। এই অশুভ শক্তির এই বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকতে পারে না। তাদের এই অশুভ তৎপরতা এখানে বরদাস্ত করা হবে না।
পাকিস্তানকে ধৃষ্টতা না দেখানোর আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, বিদেশ থেকে এখানে নাক গলানোর সুযোগ নেই। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আপনারা আর এ ধরণের ধৃষ্টতা দেখাবেন না। আপনাদের এই জঙ্গী মনোভাব বাংলাদেশের মানুষ বরদাস্ত করবে না। কূটনৈতিক রীতি অনুযায়ী আপনাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে থাকবে কি না সেটা বাংলাদেশের মানুষ ভেবে দেখবে। যদি পাকিস্তান বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় তাহলে আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।