Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার কারণেই বাড়ছে সংখ্যালঘু নির্যাতন

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা

প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : উপজাতি আর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতন রাজনৈতিক দলগুলোর ধর্মভিক্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার ফল বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বক্তাগণ।
তারা বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি বাংলাদেশ হবে এমন একটা দেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিক যে কোনো পরিচয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মাথা উঁচু করে বাঁচবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়নে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন নেতারা।
তবে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আদিবাসী আর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিকারে সরকার একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের কখনও ছাড় দেয় না আওয়ামী লীগ।
১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, নানা অজুহাতে যারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতন চালাচ্ছে, তারা এদেশের নাগরিক নয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার সোচ্চার রয়েছে। তবে সব সময় প্রশাসনের একার পক্ষে সব ঘটনা সামাল দেয়া সম্ভব হয় না।
এ সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে পাকিস্তান ও তুরস্কের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিএনপির প্রতিবাদ না করাটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। নাসিম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেখানে তো এভাবে কেউ বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ করেনি। আমাদের দেশের বিষয়ে তুরস্ক কীভাবে বিরোধিতা করে? তাদের সে অধিকার নেই।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমানও তো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আপনারা তো তুরস্ক ও পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে বলতে পারেন, এ হস্তক্ষেপের অধিকার তাদের নেই।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের সম-অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করা আছে। এখন শুধু সময় সে অধিকার বাস্তবায়নের।
মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ধর্মভিক্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার কারণেই আদিবাসী আর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতন হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারকে আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, বাংলাদেশ হবে এমন একটা দেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিক যে কোনো পরিচয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মাথা উঁচু করে বাঁচবে। আর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি মনে করি আমরা ২০০৮-এর নির্বাচনের পর এক অস্থিরতার রাজনীতি থেকে এক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে এসেছি।
জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা বলেন, এই আলোচনায় যারা অংশ নিয়েছেন, আমি মনে করি সবাই একমত হবেন। শুধু সমালোচনা দিয়ে কি এই দাবি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমি মনে করি সেটা অসম্ভব। আমি আরও মনে করি যে জাতীয় সংলাপে আমাদের বিশেষ কিছু দেয়া হয়নি। এতে করণীয়টা কী হতে পারে? এই দাবি পরিপূরণে জাতীয় পর্যায়ে আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে। এই জাতীয় পর্যায়ের আন্দোলন কারা করবে? আমরা যারা সংখ্যালঘু ও আদিবাসী তাদের পক্ষে কি জাতীয় পর্র্যায়ে আন্দোলন করার ক্ষমতা আছে। আজকে যারা ভুক্তভোগী তাদেরই এই আন্দোলন করতে হবে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার কারণেই বাড়ছে সংখ্যালঘু নির্যাতন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ