পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালেক মল্লিক : পুলিশ দম্পতি ব্লগার রাজীব হায়দার রাজিব, শিশু রাজন এবং রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে। ইতোমধ্যে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করতে ঐশীসহ তিনজনের পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি অনুমোদন করলেই হাইকোর্টের নির্ধারিত বেঞ্চে এসব মামলার শুনানি শুরু হবে। গত মাসে শেষ হয়েছে তিনজনের পেপারবুক প্রস্তুতের কাজ। চলতি মাসে শেষ হচ্ছে অপর একজনের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাবিব ফয়েজ ইনকিলাবকে বলেন, ঐশী, সিলেট ও খুলনার দুই শিশুর মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি অনুমোদনক্রমে আমরা শুনানি জন্য কার্যতালিকায় পাঠাব। তিনি আরো বলেন, ব্লগার রাজিব হত্যা মামলার শুনানি প্রথমে হবে। তার মামলার শুনানি জন্য পেপারবুকসহ যাবতীয় কাজ চলছে। আশা করি অতি দ্রুত সময়ে মধ্যে এসব মামলা শুনানির জন্য প্রস্তুত করতে পারব।
হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স সূত্রে জানা যায়, পুলিশ দম্পতির সন্তান ঐশী রহমান, সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন এবং খুলনার শিশু রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলার নিম্ন আদালতের বিচার শেষে নথি আসে হাইকোর্টে। যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। ঐশী, সিলেটের রাজন এবং রাকিবের পেপারবুক তৈরি শেষ হয়েছে। ঐশীর মৃত্যুদ-াদেশ অনুমোদন বিষয়ক (ডেথ রেফারেন্স) ৭২০ পৃষ্ঠা। রাজনের হত্যা মামলার পেপারবুকের মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ৭০৬ পৃষ্ঠা এবং রাকিবের ৪৩৫ পৃষ্ঠা। সবশেষ হাইকোর্টে আসার ব্লগার রাজিব প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠা। ব্লগার রাজিবের পেপারবুক প্রস্তুতির কাজ চলছে। গত বছর ১০ ও ১৯ নভেম্বর রাজন, রাকিব ও ঐশীর মৃত্যুদ-াদেশ অনুমোদন নথিপত্র হাইকোর্টে আসে। চলতি বছর শুরুতে আসে ব্লগার রাজিবের। গত ১৭ জানুয়ারি রাজীব হত্যা মামলার বিচারিক আদালতের নথিপত্র হাইকোর্টে আসে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেথ রেফারেন্স সুপারেনটেনডেন্ট জানান, তিনজনের পেপার বুকের কাজ শেষ। জানুয়ারীতে আসা রাজিবের পেপারবুক কাজ চলছে। এসব মামলার শুনানির জন্য দ্রুত পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা ভাগ ভাগ করে নিয়ে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে পেপারবুক তৈরি করি। ডেথ রেফারেনন্স সূত্রে জানা যায়, গত মাসে কয়েকটি মামলা শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে যেসব শুনানি জন্য প্রধান বিচারপতি ঠিক করেন সেগুলোর শুনানি আগে হয়।
২০১৩ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নিজ বাসার সামনে ব্লগার রাজীবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন তার বাবা হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে রাজিব হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদ- এবং ১ জনের যাবজ্জীবন দিয়ে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায় দেন। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে বাসা পুলিশ দম্পত্তি মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীর হত্যার ঘটনায় নিহতে ভাই এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। বিচারকার্য শেষে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ঐশীর মৃত্যুদ-সহ তাকে আশ্রয় দেয়ায় তার বন্ধু দুই বছর সশ্রম কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ২০১৫ সালের ৮ জুলাই চুরির রাকিব হত্যা হয়। বিচার-প্রক্রিয়া শেষে কামরুল ইসলামসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক। একই বছর ৩ আগস্ট খুলনার রাকিব হত্যা হয়। সিলেট শিশু বিচারিক আদালতের রায় ৭৬ পৃষ্ঠা। আর খুলনায় রাকিব হত্যা মামলায় রায় মোট ৬৯ পৃষ্ঠা। এরপর আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।