Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সারাদেশে সুপারশপ বন্ধ আজ

প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নীতিমালায় বৈষম্য ও আইনের অপ-প্রয়োগের মাধ্যমে হয়রানির প্রতিবাদে আজ সারাদেশে চেইন সুপারশপ বন্ধ থাকবে। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশন এ ঘোষণা দেয়। এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সুপারশপসমূহ খাদ্য ও পণ্যের আধুনিকতম সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য কাজ করে আসছে। তবে নীতিমালায় বৈষম্য ও আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সুপারমার্কেট মালিকদের উপর অব্যাহত হয়রানির প্রতিবাদে ‘বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ আজ রোববার সারাদেশে আগোরা, মীনা বাজার, স্বপ্ন, প্রিন্স বাজার, ক্যারি ফ্যামিলি, শপ অ্যান্ড সেফ, আলমাস, আমানাসহ সব ধরনের সুপারমার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এই বিকাশমান খাতের সাথে আজ- হাজার হাজার কর্মী, কৃষক ও উৎপাদনকারীর ভাগ্য জড়িত। অথচ সুপারমার্কেট খাত একদিকে বৈষম্যমূলক নীতিমালার শিকার, অপরদিকে উক্ত নীতির প্রয়োগকালেও আমরা অনর্থক হয়রানির শিকার। এক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ্য নিরাপদ খাদ্যের নামে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সুপারমার্কেটে নিয়মিত অভিযানের ঘটনা। বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিমিত্তে সরবরাহ পদ্ধতির সংস্কারে সুপারমার্কেট খাতের ভূমিকা সবচেয়ে অগ্রগণ্য। সুপারমার্কেট খাত এদেশে কোল্ড চেইন থেকে শুরু করে খাদ্য সরবরাহ ও সংরক্ষণের আরও অনেক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রবর্তক। সুপার মার্কেট থেকেই এদেশে নিরাপদতম খাদ্যের বিস্তার ঘটেছে। সুপারমার্কেট যেখানে নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপারে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখছে, তখন সেখানে কেবল ভ্রাম্যমাণ আদালত নয়, পুলিশ-র‌্যাব ও মিডিয়া সহযোগে বারবার অভিযান চালানো হচ্ছে। অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য পরীক্ষার প্রেক্ষিতে তাদেরকে জরিমানাও করা হচ্ছে। দেখে-শুনে মনে হয়, এ ধরনের অভিযানে সুপারমার্কেটগুলোকেই টার্গেট করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে ভুল বার্তা দেয়া হচ্ছে। যেন এই দোকানগুলোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে ক্রেতাদের পচা বা ভেজাল পণ্য বিক্রি করা। যে সকল কোম্পানি প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করে তাদের অবকাঠামো ও ব্র্যান্ড তৈরি করেছে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোনো কাজ করবে যার ফলে তারা ক্রেতাদের আস্থা হারাবেÑ এটা কোনো যুক্তিতেই টেকে না। এরপরও সুপারমার্কেটে একেক সময় একেকটি কর্তৃপক্ষ মিডিয়াকে সাথে নিয়ে বিশাল বহর নিয়ে অভিযানে আসে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় খাদ্যের গুণগতমানের চেয়ে মিডিয়ায় প্রচারণাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। না হলে যে সুপারমার্কেটদের তারা নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে অনায়াসেই সঙ্গী হিসেবে পেতে পারেন, তাদেরকে এভাবে অনর্থক প্রতিপক্ষ বানানো খুবই দুঃখজনক। অতএব, উৎপাদন ও সরবরাহের বিস্তৃত অঙ্গনে ভেজালনিরোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে কেবল সুপারমার্কেট বা নামি-দামি দোকানে হানা দিয়ে খাদ্যের শুদ্ধতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এধরণের প্রচারমুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের ছাড় দেয়া হচ্ছে, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে এবং একটি বিকাশমান খাতকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি সুপারমার্কেটসমূহ বৈষম্যমূলক ভ্যাট ও ট্যাক্স-ডিউটি কাঠামোর কারণেও এখন রীতিমত জর্জরিত। এককালের অনেক জনপ্রিয় দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে নিকটবর্তী দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় সুপারমার্কেটের সংখ্যা যথাক্রমে ১০০ ও ২০০ থেকে বেড়ে যথাক্রমে ৩০০০ ও ১০০০ অতিক্রম করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সারাদেশে সুপারশপ বন্ধ আজ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ